বিগত কিছু সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন। এমনকি অভিনেতা তথা আর্ত মানুষের মসিহা সোনু সুদেরও WhatsApp অ্যাকাউন্ট তিনি ব্যবহার করতে পারছেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন। আসলে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি উলঙ্ঘন করলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাচ্ছে। এরকম ৫ টি কারণকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দেখুন এক নজরে।
কোন ৫টি কারণে WhatsApp অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে?
- আপনি যদি WhatsApp চালানোর সময় তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। এক্ষেত্রে জিবি হোয়াটসঅ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস বা হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টার মত অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।
- অন্য কারও নম্বরের তথ্য দিয়ে WhatsApp অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে মুশকিলে পড়বেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি শুধু অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করবে তাই-ই নয়, স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে দেবে। কোনওমতেই আর অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না।
- আপনি যদি ক্রমাগত কোনও অজানা ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠাতে থাকেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে। আপনার পরিচিত নন অথচ সেই নম্বরে বারবার মেসেজ আপনি পাঠাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে WhatsApp ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন : WhatsApp : হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিট হওয়া মেসেজ পড়ার পদ্ধতি
- যদি অনেকে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট বা ব্লক করে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ভুয়ো এবং স্প্যাম ছড়ানোর অপরাধে ব্লক করা হতে পারে।
- WhatsApp এর মাধ্যমে নিষিদ্ধ বা অশ্লীল বিষয় বা হুমকি মূলক বার্তা পাঠালে অ্যাকাউন্ট ব্যান হবে।
আরও পড়ুন : WhatsApp-এ ভুলেও এই ৬টি মেসেজ কাউকে পাঠাবেন না, হতে পারে জেল
WhatsApp ব্যান হলে কী করবেন?
আপনি এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। WhatsApp অ্যাপে গিয়ে Request A Review অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর WhatsApp কর্তৃপক্ষ আপনার রিকোয়েস্ট পরীক্ষা করবে এবং ভালোভাবে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।