Bhu-Aadhaar: এবার জমিরও লাগবে আধার কার্ড! নাহলে হাত ছাড়া হবে জমি-জায়গা

তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার সম্পত্তিও আধারের আওতায় নিয়ে আসবে, এমনই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তা সত্যি প্রমাণ হলো। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার সময় এমনই ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আধার কার্ডের পাশাপাশি এবার ভূ-আধার কার্ড নিয়েও নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন আপাতত গ্রামীণ এলাকার সব জমি ভূ আধারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সব জমির একটি করে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। এই আইডেন্টিফিকেশন নম্বরই হলো ভূ আধার। গ্রামাঞ্চলের ভূমি সংস্কারের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Bhu-Aadhaar

প্রস্তাবে বলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটা জমির সার্ভে করতে হবে। স্ট্যাম্প ডিজিটাইজড করতে হবে। বাদ যাবে না শহরগুলোও। শহরগুলোর ক্ষেত্রে চালু হবে জি আই এস ম্যাপিং। সম্পত্তির রেকর্ড নথিভুক্ত করার জন্য বিশেষ আইটি সিস্টেম চালু করা হবে। জমির মালিকানার অধিকার এবং সেই সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের জন্য এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরকার এই পদক্ষেপ নিলে জমি বিবাদ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা রাতারাতি কমে যাবে। আধার কার্ডের মত জমির মালিকদের ১৪ ডিজিটের ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ইউএলপিআইএন দেওয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে জমি শণাক্তকরণ নম্বর, জমির ম্যাপিং ও মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করবে সরকার।

আরও পড়ুন : কীভাবে বানাবেন Blue Aadhaar Card? কী কী ডক্যুমেন্ট লাগবে?

Bhu-Aadhaar

আরও পড়ুন : কীভাবে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক ও আনলক করবেন?

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালেই ভূ আধার কার্ড চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কাজ এগোতে পারেনি। এবার এই কাজে গতি আনা হচ্ছে। ভূ আধার কার্ড চালু হয়ে গেলে গ্রামাঞ্চলে কৃষকেরা কৃষি ঋণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আরও দ্রুত পাবেন। শহরেও জিআইএস ম্যাপিং চালু হলে পুরকর সংগ্রহ ও সরলীকরণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।