CAA : ২০২৪ – এর লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) ঠিক আগেই সি এ এ (CAA) ধারা নিয়ে বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচনের আগেই প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে আসা নিপীড়িত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। কিন্তু এই ঘোষণাটিকে শুধুমাত্র মতুয়া সমাজের ভোট টানার কৌশল বলে কটাক্ষ করল বিরোধীরা।
গত ৪ বছর ধরে এই সিএএ ধারা নিয়ে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে রাজনৈতিক মহল। প্রতি ৬ মাস অন্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই আইনের ধারা তৈরির জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে এসেছে। কিন্তু লাভের লাভ এতদিন কিছুই হয়নি। অবশেষে লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হল, লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই এই ধারা তৈরি হয়ে যাবে। একবার ধারা তৈরি হলে আইন রূপায়ণ করতে বেশি সময় লাগবে না। যারা যোগ্য তারা আবেদন করলেই পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব।
সিএএ আইন অনুযায়ী, ভারতের প্রতিবেশী ইসলাম ধর্মালম্বী দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যে সমস্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মালম্বী সংখ্যালঘু মানুষ ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে চান, তাদের আশ্রয় দেবে ভারত। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসেই এই আইন পাশ করিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে এই তালিকায় মুসলিমদের নাম না থাকার কারণে বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি বিরোধী এবং একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠন।
আরও পড়ুন : মুখ পুড়লো অভিষেকের! ‘লিপস এন্ড বাউন্ডস’ মামলায় চাঞ্চল্যকর আপডেট ইডির
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এমন ঘোষণা হওয়ার পরেই বিরোধীরা ব্যাপারটিকে লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করেছেন। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, গতবছর লোকসভা ভোটের আগেও একইভাবে এই আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছিল বিজেপি। এবারেও একই কৌশল নিয়েছে তারা। এই দাবী শুধুমাত্র মতুয়া সমাজের ভোট টানার কৌশল মাত্র। উল্লেখ্য, গতবছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া সমাজের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে বেশ ভালই ফলাফল করেছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন : মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? কে নেবে বাংলার দায়িত্ব?
বিজেপি সরকারের এই নতুন প্রতিশ্রুতি শুনে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ৪ মাসের মধ্যে কখনোই এই আইনের ধারা তৈরি করে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। ভোটের আগে যদি এই আইনের ধারা তৈরি হয়েও যায়, সেক্ষেত্রে আইনের সুযোগ সুবিধা পেতে পেতে অনেক সময় লেগে যাবে। যে আইনের ধারা গত চার বছরে তৈরি হলো না, তা কি করে ৪ মাসে তৈরি হয়ে যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।