CAA : নতুন বছর শুরু হতে না হতেই বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) আগেই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act)। লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে এখনো বাকি অনেকটা সময়, তার মধ্যেই কার্যকর করা হবে এই আইনটি, জানানো হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। কিন্তু কি এই CAA আইন? এই আইন কার্যকর হলে কি সুবিধা হবে মানুষের?
CAA আইন কী?
এই বিলের উদ্দেশ্য হলো ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন। ভারতের প্রতিবেশী মুসলিম ধর্মালম্বী দেশ অর্থাৎ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে যে সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মালম্বী মানুষেরা নিপীড়িত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এই আইনের মাধ্যমে। তবে এই আইনে মুসলিমদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা রাখা হয়নি।
১৯৫৫ সালের গার্ডিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী, ভারতের ৯ টি রাজ্যের ৩০ টিরও বেশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এই রাজ্য গুলির মধ্যে ছিল গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব। তবে ২০১৯ -এ আইন সংশোধন করার কথা উঠলে বহু মানুষকে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এমন খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। তাই CAA -এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ।
২০১৯ সালের ১১ ই ডিসেম্বর পাশ করা এই নতুন আইনে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন কোন কাগজপত্র ছাড়াই, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। আইনের চোখে যারা যোগ্য, তারাই একমাত্র সুযোগ পাবেন ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করার। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন : ২৪ -এর নির্বাচনে মোদির বিপরীতে কে হবে বিরোধী জোটের ‘মুখ’? প্রকাশ্যে এল দেশবাসীর রায়
২০২৪ সালের লোকসভাকে সামনে রেখে গত বছরের শেষ লগ্নে CAA চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই আইন কেউ আটকাতে পারবে না। একবার আইনের ধারা তৈরি হয়ে গেলে সেটি কার্যকর করা হবেই। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের আগে এই আইন কার্যকর করে ব্যাপক সংখ্যক ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? কে নেবে বাংলার দায়িত্ব?
তবে বিজেপির এই মাস্টার স্ট্রোককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছেন বিরোধীরা। যে আইন ৪ বছরে চালু করা হলো না তা কি করে ৪ মাসের মধ্যে চালু করা হবে? আইন চালু হলেও তা কার্যকর হতে হতে লোকসভা ভোট পেরিয়ে যাবে, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। CAA আইনের আড়ালে মোদি সরকার শুধুমাত্র ভোট আদায় করার ফন্দি আটছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।