LIC : এলআইসিতে (LIC) অর্থ বিনিয়োগের একাধিক বিকল্প থাকে, যেগুলিতে বিনিয়োগ করলে আপনি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি পাবেন একাধিক কভারেজ। তবে আপনি যদি বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাদের জানাবো এলআইসির ইনভেসমেন্ট প্লাস প্ল্যানের কথা, যে প্ল্যানে আপনি পেয়ে যাবেন বীমা সহ বিনিয়োগ কভার।
এলআইসির ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানটি ইউলিপ, নন পার্টিসিপেন্ট একক প্রিমিয়াম জীবন বীমা পরিকল্পনা। এই স্কিমে আপনি অফলাইন বা অনলাইনে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্ল্যানটির সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিমাসে বা তিন মাস অন্তর নয়, বরং একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আপনি পেয়ে যাবেন জীবন বীমা এবং দুর্ঘটনা বীমা কভার। বীমা কভারের টাকা আপনার বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে। বুঝতেই পারছেন, আপনি যত বেশি বিনিয়োগ করতে পারবেন বীমা কভারও তত বেশি বাড়বে। বীমা কভারের পাশাপাশি আপনি পেয়ে যাবেন ডেথ বেনিফিট।
এলআইসি ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানে ঝুঁকি শুরু হওয়ার আগে যদি মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইউনিট তহবিলের টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু ঝুঁকি শুরু হওয়ার পর যদি মৃত্যু হয় বিনিয়োগকারীর, সে ক্ষেত্রে বীমার টাকা এবং ইউনিট তহবিল উভয়ই পাবেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন : ১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুললেই মিলবে ২৪ লক্ষ টাকা! দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে হাজির পোস্ট অফিস
বিনিয়োগকারী যদি ম্যাচুরিটির তারিখ অবধি বেঁচে থাকেন তাহলে লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটি বেনিফিট হিসেবে পেয়ে যাবেন ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর সমপরিমাণ অর্থ। ম্যাচুরিটির আগে যদি পলিসি সারেন্ডার করে দেন বিনিয়োগকারীরা, সেক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট চার্জ কেটে ইউনিট ফান্ডের মূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। তবে লক ইন পিরিয়ড অর্থাৎ পাঁচ বছর শেষ হওয়ার পর যদি পলিসি সারেন্ডার করা হয় সেক্ষেত্রে ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর পুরোটাই প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন : বিনিয়োগের উপর ৯% সুদ! লাখপতি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে LIC এর এই পলিসি
প্রসঙ্গত, এলআইসির এই স্কিমে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। বিনিয়োগকারীরা যদি ঝুঁকি নিতে পারেন তাহলে ১৫% এনএভি বৃদ্ধির ভিত্তিতে পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে। ঝুঁকি যদি কম নেন সেক্ষেত্রে রিটার্নও পাবেন কম। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই সমস্ত নিয়ম ভালো করে পড়ে নেবেন।