Amul Mishti Doi : এখন অনেকেই মিষ্টির দোকানের হাঁড়ির দই (Dahi) খেতে পছন্দ করেন না। হাঁড়ির দইয়ের বদলে অনেকেই প্যাকেটজাত মিষ্টি দই খেতে ভালোবাসেন। বাড়িতে তো বটেই, অনুষ্ঠান বাড়ির মেনু কার্ডেও দেখা যায় কোন না কোন বহুজাতিক সংস্থার প্যাকেটজাত মিষ্টি দই। তবে এবার আমুলের (Amul) একটি বিশেষ ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই বিক্রি করা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিলেন পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর (Department of Health and Family Welfare – West Bengal)। কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ নিলেন তারা? আমুলের মত কোম্পানির বিরুদ্ধে কেন এত কড়া পদক্ষেপ নিতে হল স্বাস্থ্য দপ্তরকে?
পূর্ব বর্ধমানের রায়নাতে বিষক্রিয়া
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এবং রায়না এলাকায় একটি শ্রাদ্ধ বাড়ির প্রায় দেড়শো জন অতিথি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সকলেরই বমি শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়াতেও ঠিক ওই সময়ে একই রকম অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আমুল দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া
পরপর দুটি ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেন পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর। ঘটনাগুলি জানাজানি হওয়ার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে একটি মেডিকেল টিম তৈরি করা হয়। জানা যায়, ওই দুই অনুষ্ঠানেই আমুলের মিষ্টি দই খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলে।
পূর্ব বর্ধমানের তরফ থেকে আমুল দইয়ের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয় তা টেস্ট করার পরেই জানা যায় আসল ঘটনা। নমুনার মাইক্রো বায়োলজিকাল টেস্টের পর জানা যায় দইয়ের মধ্যে রয়েছে স্টেফাইলোকক্কাস অরাস নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি। এই ব্যাকটেরিয়ার বিষক্রিয়াতেই একপ্রকার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সকলে।
আরও পড়ুন : বাড়বে টিভি দেখার খরচ! ১২ টাকার চ্যানেলের দাম এখন কত? দেখেই মাথায় হাত গ্রাহকদের
আমুলের উপর কী পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দপ্তর?
গত ৮ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বহুজাতিক সংস্থা আমুলের একটি বিশেষ ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল। ওই নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই কোনভাবেই বিক্রি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নির্দেশিকা অমান্য করে যদি কেউ আমুলের ওই বিশেষ ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই বিক্রি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন : চীনা জিনিসের দিন শেষ! এইসব চীনা প্রডাক্ট বিক্রি করলেই এবার হবে জেল
আমুলের কত ব্যাচ নম্বরের দই খাবেন না?
বাঁকুড়ার ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্ট লিমিটেডে ওই দই তৈরি করা হয়েছিল। ব্যাচ নম্বর ছিল কেপিভি ৩৬৫৩। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমুল কোম্পানির এই বিশেষ ব্যাচ নম্বরের সমস্ত মিষ্টি দই বিক্রি করে দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর।