শুধু চড়া সুদ নয়! পোস্ট অফিসে RD করলে এই সুবিধাগুলোও পাবেন আপনি

RD Benifits : উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ (Investment) করার এবং সঞ্চয় করে রাখার সবথেকে আদর্শ স্থান হল পোস্ট অফিস (Post Office)। সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি পোস্ট অফিসে যদি আপনি রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit) করেন সেক্ষেত্রেও ভালো রিটার্ন পাবেন আপনি। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাকে জানানো হবে পোস্ট অফিসের RD তে ঠিক কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার

আপনি যদি ব্যাংকে রেকর্ডিং ডিপোজিট করেন সেক্ষেত্রে আপনার মেয়াদ হবে এক, দুই, তিন এবং পাঁচ বছর। কিন্তু পোস্ট অফিসে RD করলে পাঁচ বছর টাকা জমা রাখতেই হবে আপনাকে। বর্তমানে পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার ৬.৫%। এছাড়াও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন আপনি।

পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করার শর্ত

যে কোনও মানুষ এই রেকারিং ডিপোজিট খুলতে পারবেন কারণ মাত্র ১০০ টাকা দিয়েই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। বিনিয়োগের সর্বোচ্চ অর্থ রাশির কোন সীমা নেই। পোস্ট অফিসে একজন বিনিয়োগকারী একাধিক আরডি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এছাড়াও জয়েন্টে তিনজন পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন একজন ব্যক্তি। নাবালকের সঙ্গেও এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

RD অ্যাকাউন্ট- এর মেয়াদ হয় ৫ বছর। মেয়াদ পূর্তির পর এই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে প্রিম্যাচিউর ক্লোজার করতে গেলে আপনাকে ৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই অ্যাকাউন্টে নমিনির সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন আপনি।

পোস্ট অফিসে RD করলে ঋণ পাওয়া যাবে?

পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট করা থাকলে যে কোনও প্রয়োজনে আপনি পেতে পারেন ঋণ। ৫ বছর মেয়াদি RD- তে যদি টানা ১২ মাস কিস্তির টাকা জমা দিতে পারেন তাহলেই লোনের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন আপনি। অর্থাৎ মাত্র ১ বছর টাকা জমা দিলেই আপনি পাবেন ঋণ।

আরও পড়ুন : ১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুললেই মিলবে ২৪ লক্ষ টাকা! দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে হাজির পোস্ট অফিস

১ বছর অর্থাৎ ১২ মাস পর অ্যাকাউন্টে জমা পরিমাণের ওপর ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনি কত ঋণ পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার বিনিয়োগের উপর। বিনিয়োগকারী একক বা সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ শোধ করতে পারেন। এই ঋণের পরিমাণের ওপর সুদ প্রযোজ্য হবে ২ শতাংশ+ RD অ্যাকাউন্টে প্রযোজ্য RD সুদের হার।

আরও পড়ুন : বিনিয়োগ করলেই টাকা ডাবল! রইল পোস্ট অফিসের সেরা ৫ টি স্কিমের হদিশ

ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে কী হবে?

টাকা তোলার তারিখ থেকে পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত এই সুদ গণনা করা হবে। বিনিয়োগকারী যদি সঠিক সময় ঋণ পরিশোধ না করেন তাহলে ম্যাচুরিটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুদের সঙ্গে ঋণের পরিমাণ কেটে নেওয়া হবে। পাসবুকের সঙ্গে আবেদন পত্র পূরণ করে পোস্ট অফিসে জমা দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন এই ঋণ।