Money Saving Tips : অনেকেই মনে করেন, বেশি আয় করলেই সঞ্চয় করা যায়। কিন্তু কথাটা আদৌ ঠিক নয়। আপনি যদি চান তাহলে কম আয় করলেও আপনি করতে পারবেন সঞ্চয়। তবে সঞ্চয় করার জন্য চাই আগ্রহ, মানসিকতা। আজ এই প্রতিবেদনে ১০ টি এমন উপায়ের কথা জানানো হবে, যেগুলি মেনে চললে আপনি মাসের শেষে করতে পারবেন অর্থ সঞ্চয়।
১) বাজেট মেনে চলতে হবে : প্রতিটি মানুষেরই উচিত একটি নির্দিষ্ট বাজেট অনুযায়ী খরচ করা। মাসের প্রথমে যদি আপনি কোনও হিসেব ছাড়াই খরচ করে দেন তাহলে সঞ্চয় তো দুরস্ত আপনি মাসের শেষে এক পয়সাও সঞ্চয় করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আগে বাজেট নির্ধারণ করে খরচ করুন তাহলে মাসের শেষে একটি নির্দিষ্ট টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।
২) ৩০ শতাংশ সঞ্চয় : প্রতি মাসে যখন টাকা পাবেন তখনই ৫০-৩০-২০, এইভাবে একটি হিসেব করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। ৫০ শতাংশ প্রতি মাসের খরচের জন্য রেখে দিন। ২০ শতাংশ রেখে দিন জরুরী কোনও খরচের জন্য। বাকি ৩০% সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। প্রতিমাসে এইভাবে যদি সঞ্চয় করেন তাহলে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না টাকা নিয়ে।
৩) আয় বাড়ানোর উপায় : আপনি যদি আপনার আয় থেকে সঞ্চয় না করতে পারেন তাহলে চেষ্টা করুন কীভাবে আয় বাড়ানো যায়। খরচের তুলনায় যদি আয় বাড়ে তবেই প্রতি মাসে সঞ্চয় করতে পারবেন আপনি। চাকরি ছাড়াও ছোটখাটো ব্যবসার সাহায্য আপনি করতে পারেন বাড়তি আয়।
৪) লিস্ট তৈরি : বাজার থেকে শপিং সবকিছুই একটি লিস্ট করে কেনাকাটি করার চেষ্টা করুন। নিজের খুশির মতো বাজার করলে খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একটি কাগজে লিস্ট তৈরি করে তবেই বাজারে যান। দেখবেন বাড়তি খরচ অনেকটাই কমে গেছে।
৫) খরচের হিসেব : ইলেকট্রিক বিল থেকে গ্যাসের বিল, কোথায় কতটা খরচ হচ্ছে সেটা হিসেব করে রাখুন একটি জায়গায়। প্রতিমাসে যদি আপনার কাছে খরচের স্বচ্ছ ধারণা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি মাসের শেষে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট সঞ্চয় করতে পারবেন।
৬) বাড়তি খরচ কমিয়ে ফেলতে হবে : রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে অথবা বিড়ি সিগারেটের পেছনে যদি খরচ কমিয়ে ফেলতে পারেন তাহলেই দেখবেন অনেকটা অর্থ জমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি। হুটহাট বেড়াতে চলে যাবেন না। সবকিছু জন্যই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করবেন। দেখবেন অর্থ সঞ্চয় করা কোনও কঠিন কাজ নয়।
৭) অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে দিন : অনেকের বাড়িতেই পুরনো ফার্নিচার বা অন্যান্য জিনিস অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এই অব্যবহৃত জিনিস যদি আপনি বিক্রি করে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রেও অনেকটা টাকা বাড়তি আয় হয়ে যাবে আপনার। এই বাড়তি টাকা সঞ্চয় করে রেখে দিন।
৮) লক্ষ্মীর ভান্ডার : প্রতিমাসে যে খুচরো টাকা বেঁচে যায় সেটি ব্যাগে না রেখে লক্ষীর ভান্ডারে ফেলে দিন। মানিব্যাগে খুচরো টাকা থাকলেই তা খরচ হয়ে যায়। তাই খুচরো টাকা মানিব্যাগে না রেখে যদি লক্ষীর ভান্ডারে ফেলে দেন তাহলে দেখবেন বছরের শেষে একটি বড় অংকের অর্থ জমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি।
আরও পড়ুন : মাসে মাসে রাখুন মাত্র ৫০০ টাকা, এই ৪ স্কিমে টাকা রাখলেই হবেন লাখপতি
৯) ব্যাংকে সঞ্চয় করবেন : ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভাবে যদি সঞ্চয় করতে পারেন সে ক্ষেত্রেও একটি বছরের পর অনেকটা টাকা সঞ্চয় হয়ে যাবে আপনার। আপনার সাধ্যমত অর্থ দিয়ে রেকারিং ডিপোজিটও খুলতে পারেন পোস্ট অফিসে। একটা সময়ের পর দেখবেন অর্থ নিয়ে আর কোনও সমস্যা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন : এই স্কিমে টাকা রাখলেই মালামাল! মহিলাদের লাখপতি বানাবে কেন্দ্রের এই প্রকল্প
১০) বিনিয়োগ করুন : অর্থ সঞ্চয়ের সবথেকে বড় বিকল্প হল বিনিয়োগ। পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে বিভিন্ন স্কিম রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন আপনি। এই সমস্ত স্কিমে যদি আপনি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে বার্ধক্যে অর্থের জন্য আর চিন্তা করতে হবে না আপনাকে।