Ration System : দেশের একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকেন তার জন্য ভারত সরকারের বিশেষ প্রকল্প হল রেশন ব্যবস্থা। এই প্রকল্পের আওতায় বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিভুক্ত মানুষেরা বিভিন্ন শস্য এবং খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আসছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশ অনুসারে রেশন কার্ডে (Ration Card) একটি ছোট্ট কাজ না করলেই বন্ধ হয়ে যাবে রেশন পরিষেবা। কী সেই কাজ? জানুন।
বদলে গেল রেশন ব্যবস্থা
এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে রেশন প্রদানের জন্য আলাদা আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। নির্দিষ্ট কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পেয়ে থাকেন গ্রাহকেরা। কার্ড ভিত্তিতে বাজারে তুলনায় কম দামে কিংবা অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বিনামূল্যেই মেলে এই খাদ্য সামগ্রী। তবে এই রেশন কার্ডের সিস্টেমেই এবার বড় পরিবর্তন আনছে কেন্দ্র সরকার।
বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার
বর্তমানে রাজ্য সরকার যোগ্য পরিবারগুলোকে TPDS তথা টার্গেটেড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দেয়। এবার এই রেশন কার্ডের সিস্টেমটাই বদলে দেবে কেন্দ্র। তারকা প্রধান কারণ রেশন ব্যবস্থায় কারচুপি। সরকারের পর্যবেক্ষণ অনুসারে অনেক অযোগ্য পরিবার ভুল তথ্য দিয়ে রেশন পরিষেবা নিচ্ছেন। এবার তাদেরকেই টার্গেট করেছে সরকার।
যোগ্য ব্যক্তিরা রেশন পাচ্ছেন না
অনেকদিন ধরেই গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড পাচ্ছেন না। এদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি এই কার্ডের কোটা ইতিমধ্যেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে আর কাউকে এই কার্ডের পরিষেবা দেওয়ার সম্ভব হচ্ছে না। যদিও যোগ্য প্রায় ১৮ হাজার পরিবার রেশন কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : কার্ড পাল্টালেই মিলবে দ্বিগুণ রেশন! জানুন কীভাবে বদলাবেন Ration Card
অযোগ্যদের চিহ্নিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতাতে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার পরিবার রয়েছে। আর অন্ত্যোদয় রেশন কার্ডের আওতায় রয়েছেন ৬৫ হাজার পরিবার। কেন্দ্রর নিয়ম অনুসারে এক লাখের বেশি পরিবার এই সুযোগ পাবেন না। কারণ তাদের কাছে বাড়ি গাড়িসহ নানান সম্পত্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন : বাড়িতে বসে কীভাবে করবেন Ration Card সংশোধন? রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি
কী পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার?
কেন্দ্র এরই মধ্যে অযোগ্য পরিবারগুলোকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এবার প্রত্যেকটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথম মাসে পরিবারের একজন সদস্যের আঙ্গুলের ছাপ ভেরিফিকেশন হবে। দ্বিতীয় মাসে অন্য সদস্যকে ভেরিফিকেশন করাতে হবে। এইভাবে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকেই ভেরিফিকেশন করাতে হবে। তার জন্য ই-লুপ মেশিনকে উন্নত করার প্রক্রিয়া চলছে।