QR Code Scam : এই মুহূর্তে অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কখনো UPI – এর মাধ্যমে কখনো আবার সরাসরি QR কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যখন তখন যেখানে সেখানে QR কোড স্ক্যান করলে হতে পারে বিপদ। জানেন কীভাবে?
QR কোড প্রতারণা এড়াতে কী করবেন?
বর্তমানে মোবাইল স্ক্রিনে শুধুমাত্র একটি স্পর্শের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন করে দেওয়া যায় ভীষণ সহজে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয়। মূলত যাদের ফোন নাম্বার আপনার ফোনে নেই অথবা কোনও দোকানে বা হোটেলে QR কোড স্ক্যান করে টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়ে যেতে পারে ফাঁকা?
কিউআর কোডে কীভাবে প্রতারিত হতে পারেন
যেখানে সেখানে QR কোড স্ক্যান করলে দুটি সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। মূলত স্ক্যামাররা ফিশিং বা জাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত ডাটা চুরি করে নিতে পারে। আপনি যদি আপনার যোগাযোগের নম্বর, ঠিকানা, নাম,ব্যাঙ্কের বিশদ বিবরণ জাল ওয়েবসাইটে দিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে আপনার অর্থ চুরি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ট্রোজান, ম্যালওয়্যারের মতো ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার জাল QR কোড ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসে ডাউনলোড করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
QR কোড জাল কি না বুঝবেন কী করে?
১) কোনও দোকান বা রেস্তোরাঁয় QR কোড স্ক্যান করার আগে ভালো করে করে কোডের আকৃতি দেখে নিন। যদি মনে হয় আকারটি বিকৃতি রয়েছে বা কোনও কিছু আটকে রয়েছে তাহলে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নগদ অর্থ দিয়ে লেনদেন করুন।
আরও পড়ুন : KYC নিয়ে নতুন নির্দেশ RBI -এর, কী কী করবেন না জেনে নিন
২) QR স্ক্যান করে অর্থ প্রদান করার সময় ব্যবসায়ী বা দোকানের নাম ভালো করে দেখে নিন। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করুন কোন নামে টাকা দেওয়া হবে। ওই একই নাম আপনার মোবাইল স্ক্রিনে এলে তবেই টাকা পাঠান। যদি দোকান বা বিক্রেতার নাম না মেলে তাহলে অনলাইনে টাকা লেনদেন করবেন না।
আরও পড়ুন : পোস্ট লাইক করতেই খোয়া গেল ২০ লক্ষ টাকা! নিমেষে ফাঁকা ইঞ্জিনিয়ারের ব্যাঙ্ক একাউন্ট
৩) যদি কোনও ইমেল আইডি অথবা জাঙ্ক মেলের মাধ্যমে কিউআর কোড পান, তাহলে কখনোই সেটি স্ক্যান করবেন না। ওই কিউআর কোড স্ক্যান করে ইউপিআই নম্বর দিলেই আপনার যাবতীয় তথ্য চলে যাবে স্ক্যামারদের কাছে।