ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের সঙ্গেই শীতের আগমন! এই তারিখ থেকেই বাংলায় ঢুকবে শীত

ডিসেম্বরের মাঝে যখন শীতের কাঁপুনিতে কাবু হওয়ার কথা গোটা দক্ষিণবঙ্গ সহ পশ্চিমবঙ্গের ঠিক তখনই একটি অনাগত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া গেল পুরোপুরি পাল্টে। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আগাম সতর্কতা জারি করেছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জানুন এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ক্রমশই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। সোমবার দুপুরে এই নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ড ফল হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু এবং চেন্নাই সাতটি উপকূলবর্তী জেলায় শুরু হয়ে গেছে প্রবল বৃষ্টিপাত। ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যেই চেন্নাই শহরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। মঙ্গলবার সকাল ন’টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার।

সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি চেন্নাইয়ের প্রায় ১১০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে, পুদুচেরির ২২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে, নেলোরের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, মাছলিপত্তমের ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, বাপাতলার ৩১০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের সঙ্গে প্রায় সমান্তরালভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ দুপুর বেলা নেলোর এবং মাছিলিপত্তমের মাঝামাঝি বাপটলার কাছাকাছি এলাকায় ল্যান্ড ফল হবে।

স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে এই ল্যান্ডফল হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব পড়বে বাংলায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় হতে পারে হালকা বৃষ্টি। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে বজ্রপাতসহ হালকা বৃষ্টি হবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি যা স্বাভাবিকের থেকে বেশ অনেকটাই কম।

আরও পড়ুন : মাসের শুরুতেই দাম বাড়লো LPG সিলিন্ডারের! মাথায় হাত আমজনতার

আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯.ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৮৯% এবং সর্বনিম্ন ৪৮ শতাংশ। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও গরম থাকবে মোটামুটি কারণ এই মুহূর্তে নিম্নচাপের ফলে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে উত্তুরে হাওয়া।

আরও পড়ুন : ভারত সেরা ১০ রেস্তোরাঁর শীর্ষে কলকাতাও! জানুন কোন কোন রেস্টুরেন্ট রয়েছে এই তালিকায়

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার হবে ব্যাপক পরিবর্তন। বহু প্রতীক্ষিত শীতের প্রভাব পড়বে বাংলায়। চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে ঠান্ডা পড়ে যাবে। পারদ পতন হবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। শীতের অপেক্ষায় তাই আপাতত এই ঘূর্ণিঝড়ের কেটে যাওয়ার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসী।

আরও পড়ুন : ভুলে যান লন্ডন-প্যারিস, কলকাতায় তৈরি হল টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম! সস্তায় দেখুন আন্ডারওয়াটার জু