গত দুদিন ধরে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আবহাওয়ার হয়েছে বিরাট বড় পরিবর্তন। দক্ষিণ ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুধুমাত্র দক্ষিণ বঙ্গে তেমন ভাবে না পড়লেও গোটা পশ্চিমবঙ্গের আকাশের মুখ ভার। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ধ্বংসলীলায় বিধ্বস্ত গোটা দক্ষিণ ভারত। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা পড়বে বাংলায়? কতটা ক্ষয়ক্ষতি হলো দক্ষিণ ভারতে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আজ ৫ ডিসেম্বর দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া ঘূর্ণিঝড় নিজের ধ্বংসলীলা দেখাতে শুরু করেছে। গত দুদিন ধরেই চেন্নাই, তামিলনাড়ু এবং অন্ধপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। একাধিক মৃত্যুর খবরও শোনা গেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির প্রভাবে চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং পাতাল রেল প্লাবিত হয়ে গেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। মানুষ হয়েছেন গৃহবন্দী।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে এখনো পর্যন্ত ২০৪ মিলির বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টির ফলে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। বন্ধ স্কুল কলেজ।তামিলনাড়ুতে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ২৯ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি ত্রান ব্যবস্থা নিয়ে সদা সতর্ক থাকা নির্দেশ দিয়েছেন কর্মকর্তাদের। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আজ দুপুর ১টা নাগাদ হয় ল্যান্ডফল। গত কয়েক ঘন্টায় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে গেছে মিগজাউম। ল্যান্ডফল হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যায় অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্পূর্ণ অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে?
আরও পড়ুন : ভোটের আগে বড় ঝটকা, আগামী মাসেই লাগু হবে অষ্টম পে কমিশন? জানালো কেন্দ্র
আবহাওয়াবিদদের মতে, এখনই পশ্চিমবঙ্গে কোন সতর্কতা জারি করা না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর বৃষ্টিপাত হবে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এলাকায়। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং ২ ২৪ পরগনা এলাকায়। ৭ ডিসেম্বর বৃষ্টিপাত হতে পারে উপকূলবর্তী এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন : ভারত সেরা ১০ রেস্তোরাঁর শীর্ষে কলকাতাও! জানুন কোন কোন রেস্টুরেন্ট রয়েছে এই তালিকায়
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রার কোন হেরফের হবে না। আগামী দু চার দিন নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাহত থাকবে শীত। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাবার পরেই পশ্চিমবঙ্গে জাঁকিয়ে পড়বে শীত, এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে মাঝের এই কদিন রাস্তাঘাটে বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন ছাতা।
আরও পড়ুন : হু হু করে কমবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, বড় সুখবর শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার