সরকারি পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হল প্রাইমারি টেট পরীক্ষা। এই পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে বিতর্ক। প্রায় ৫ বছর পর গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর ফের টেট পরীক্ষা হয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পন্ন হবে এই বছরের টেট পরীক্ষা। পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করার পরেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ঘোষণা করা হল একটি বড়সড় খবর।
টেট পরীক্ষা, এমন একটি পরীক্ষা যা নিয়ে বারবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ঐদিন দুপুর ১২ টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমটাই গত সোমবার শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে না। এই ঘোষণা শোনার পর থেকেই স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগে ছিলেন সকলে। প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে এই বছরও কি বাতিল হয়ে গেল টেট পরীক্ষা?
না, বাতিল হয়নি বরং পরিবর্তিত করা হয়েছে টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ। শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের জায়গায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। সময়ের কোন পরিবর্তন করা হয়নি। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা এবার কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছি যাতে পরীক্ষায় একেবারে নির্বিঘ্নে হয়। এই পদক্ষেপ নিতে বোর্ডের কিছুটা সময় প্রয়োজন তাই পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।”
চলতি বছরে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ১৫০ নম্বরে। আগের মতো পরীক্ষার্থী কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। এবারের পরীক্ষায় চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগজি, প্রথম ভাষা (যার যেটি প্রথম ভাষা রয়েছে), দ্বিতীয় ভাষা অর্থাৎ ইংরেজি, গণিত এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের উপর প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্ন করা হবে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষণের নীতির উপর। প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষায় গদ্যাংশ এবং কবিতাংশ থেকে সঠিক উত্তর বেছে নেওয়ার প্রশ্ন থাকবে। গণিতে থাকবে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, সময়, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং জ্যামিতি।
আরও পড়ুন : ১৫০০০ টাকায় শুরু করুন ব্যবসা, মাসে কামাবেন ৩ লক্ষ টাকা, জানুন কীভাবে
টেট পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটে, সিসিটিভি নজরদারি থেকে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সব রকমই ব্যবস্থা থাকবে পরীক্ষার্থীদের জন্য। তবে যারা বিএড করেছেন তারা এই বছর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে নজরদারির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে সেদিন।ডি এল এড বা প্রাথমিক পড়ানোর প্রশিক্ষণ যাদের রয়েছে বা যারা আগের বছর অকৃতকার্য হয়েছেন, তারাই একমাত্র এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন : Moye Moye কথার মানে কি? কেন এত ভাইরাল হচ্ছে এই গান?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, চলতি বছর পরীক্ষা দেবেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী যা গত বছরের প্রায় অর্ধেক। ২০২২ সালে বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার জন পরীক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ডি এল এড করেছেন মাত্র ৫৫ হাজার পরীক্ষার্থী। d.el.ed না করার ফলে গত বছরের প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এই বছর টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : ৩১শে ডিসেম্বরের আগেই সেরে নিন আধার, FD এবং ব্যাঙ্কের এই কাজগুলো, না হলে পড়বেন সমস্যায়