Banned Bikes in India : বাইকের চাহিদা নিরিখে গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। এখানে বাইকের কেনাবেচা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি হয়। দেশি-বিদেশি নানা কোম্পানির বাইকের প্রতি ঝোঁক রয়েছে ভারতীয়দের। তবে জানেন কি আইন করে ভারতে বেশ কিছু বাইকের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে? ভারতে কোন কোন বাইক চালানোর অনুমতি নেই? এক নজরে জেনে নিন।
List of Banned Bikes in India
Hero Honda Karizma
Hero Honda Karizma বাইকটির এক সময় ভারতের বাজারে ব্যাপক চাহিদা ছিল। এর লুক, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন, সেমি ফেয়ারিং, ডিজিটাল ফুয়েল মিটার, ওডোমিটার, ট্রিপ মিটার এবং পারফরমেন্সের জন্য গ্রাহকদের পছন্দের তালিকাতে প্রথম স্থানে থাকত। কিন্তু এর উন্নত পারফরম্যান্সই শেষমেষ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ বেশিরভাগ আরোহীই এই বাইকের একাধিক সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন না। শেষে হিরো এবং হোন্ডা আলাদা হয়ে যায়। Karizma -র পুনরুৎপাদন আবার শুরু হলেও ‘Killer Bike’ হিসেবে গুজব ছড়াতে শুরু করে এই বাইককে নিয়ে।
TVS Suzuki Shogun
এই ব্র্যান্ডের গাড়িরও একসময় বেশ চাহিদা ছিল। গাড়ির পারফরম্যান্স ভালো হলেও বেশ কিছু সমস্যা ছিল। এর ওজন ছিল ১০৪ কেজি। প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ ছিল। ১০৮.২ সিসির ইঞ্জিন ছিল। কিন্তু গাড়ি চালাতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তেন আরোহীরা। ওই সময় বাজারে RX-১০০ এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়ে TVS Suzuki Shogun। শেষমেষ প্রতিযোগিতায় হেরে বাজার থেকে সরে যেতে হয় গাড়িটিকে।
Yamaha RD350
১৯৮৩ সালে ইয়ামাহার তরফ থেকে ভারতীয় বাজারে এই মোটরবাইক আনা হয়। ৩৫০ সিসির প্রিমিয়াম এই বাইক প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতো। যে কারণে বাইক রেসিং নিয়ে অনেক দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এই বাইককে Racing Death বা মানুষ খেকো বাইক বলা হতে থাকে।
Bajaj Pulsar v1
একসময় হিরো হোণ্ডাকে টেক্কা দেওয়ার জন্য বাজারে আনা হয়েছিল এই গাড়ি। Bajaj Pulsar v1 150 এবং Bajaj Pulsar v1 180 এই দুটো গাড়ি বাজারে আনা হয়। এর ১৮ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক, পেশি বহুল চেহারা, বড় গোল হেড লাইট প্রথমদিকে ক্রেতাদের আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু ১৮ মাস পরে গাড়ির চাহিদা বাজারে কমে যায়। বাইকের গুণমান রক্ষার উদ্দেশ্যে বিক্রেতার সংখ্যাও কমাতে বাধ্য হয় সংস্থা। পরে ফুয়েল ট্যাঙ্কের আয়তন কমালেও এই গাড়ি বাজারে আর চলেনি।