বাংলায় বিয়ে করতে গেলে মানতেই হবে এই নিয়ম, নতুন সিস্টেম চালু করল রাজ্য সরকার

সামনেই বিয়ের (Marriage) মরশুম। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এই চার মাস ধরে শয়ে শয়ে পাত্র পাত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। আর এসবের মধ্যেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজের নিয়মে বড় বদল আনল রাজ্য সরকার (West Bengal)। জানা গেছে ভুয়ো রেজিস্ট্রি ম্যারেজ আটকাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্য সরকার। চলুন জেনে নিই এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে।

জানা যাচ্ছে, বিগত বছরগুলিতে বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পাত্র বা পাত্রীর ভুয়ো স্বাক্ষরের উপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে। ভুয়ো ছবি দেওয়ার পরেও ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছেন অনেকে। আর সেই সব আটকানোর লক্ষ্যেই এবার বায়োমেট্রিকের উপর আস্থা রাখছে রাজ্য সরকার।

এতদিন পর্যন্ত বিয়ের রেজিস্ট্রির বৈধতা প্রমাণের জন্য নির্ভর করতে হত রেজিস্ট্রির সময় দেওয়া সই, ছবির উপর। রেজিস্ট্রি নিয়ে সমস্যা হলে জমা দেওয়া ছবির ফরেন্সিক রিপোর্ট আনাতে হতো। তবে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে সেই সব সমস্যা এড়ানো যাবে। রাজ্যজুড়ে এক হাজার ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে বায়োমেট্রিক মেশিন রয়েছে।

এবার থেকে রেজিস্ট্রি বিয়ের জন্য আবেদনের করতে হবু দম্পতির যেকোনও একজনের বায়োমেট্রিক লাগবে। রেজিস্ট্রির সময় দম্পতির পাশাপাশি তিনজন সাক্ষীরও বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে সেই মেশিনের মাধ্যমে। সূত্রের খবর, গত ১ নভেম্বর থেকেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। আর এই নিয়মই কার্যকর থাকবে। সরকারের অন্তত তেমনই পরিকল্পনা।

আরও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে ধনী এই ব্যক্তি, আম্বানী-আদানিদের সম্পত্তি যার কাছে নস্যি

তবে জানা গিয়েছে, ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে থাকে বায়োমেট্রিক মেশিনটি শুধুমাত্র তার আঙুলের ছাপেই অ্যাক্টিভেট হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও সতর্ক রাজ্য। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই অ্যাক্টিভেট থাকবে এই বায়োমেট্রিক। সেজন্য বিয়ের আবেদনের সময় একটু সময় নিয়ে যেতে হবে হবু দম্পতিকে। তাদেরই এই বায়োমেট্রিক নিয়ম বুঝিয়ে দেবেন ম্যারেজ অফিসার।

আরও পড়ুন : নামমাত্র পুঁজিতে এখনই শুরু করুন এই ব্যবসা, ২০২৪ -এ পাবেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা

প্রসঙ্গত, এর আগেই তৎকাল বিয়ের কথা শোনা গিয়েছিল। তখন নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছিব, আইন দফতর বিষয়টিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। সেইসঙ্গে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট মেনে যে ভাবে বিয়ে হত, সেই বিয়ের পদ্ধতিতে বদল আনা হতে পারে। এখন হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, রেজিস্ট্রির জন্য সাত দিন সময় লাগে। তারপর অষ্টম দিনে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে পারেন নব-দম্পতি। নতুন নিয়মে সেই পদ্ধতিতে বদল আসছে। এ বার তা একদিনেই করা যাবে।