চোখ রাঙ্গাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টি আজ, রইল আবহাওয়ার সতর্কতা

বছরের শেষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উলটপালট হয়ে গেছে দক্ষিণবঙ্গ সহ সারা পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া। গতকাল ল্যান্ডফল হওয়ার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ধীরে ধীরে তেলেঙ্গানা থেকে ছত্রিশগড়ের দিকে চলে যাবে ঘূর্ণিঝড়-এর প্রভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় কতটা প্রভাব পড়ল বা কি কি ক্ষতি হলো দক্ষিণ ভারতে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলমগ্ন হয়ে যায় তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ গোটা দক্ষিণ ভারত। স্কুল কলেজ, অফিস সবকিছু ছিল বন্ধ। জলমগ্ন হয়ে যায় বিমানবন্দরের রান হয়ে থেকে শুরু করে পাতাল রেলের ট্র্যাক। বাতিল হয়ে যায় ১২ টি ফ্লাইট, একাধিক ট্রেন। শুধু দক্ষিণ ভারত নয় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া অকাল বৃষ্টির ফলে সামান্য হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার কৃষিকাজে।

নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও বুধ এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানিয়েছিলেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৬ এবং ৭ই ডিসেম্বর উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টিপাত হবে কলকাতা হুগলি, হাওড়া, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়া জেলায়।

উত্তরবঙ্গে তেমনভাবে বৃষ্টিপাত না হলেও মালদা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বুধ এবং বৃহস্পতিবার। এই মুহূর্তে মালদায় তেমনভাবে তাপমাত্রার পারদ কমেনি যদিও ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বৃষ্টি হচ্ছে মালদহে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বৃষ্টির ফলে শীতের দাপট বাড়বে মালদায়। তবে সব থেকে বেশি তাপমাত্রার পারদ কমবে এই ঘূর্ণিঝড় সরে যাওয়ার পর। শুক্রবার থেকেই কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি পাবেন মালদাবাসী।

আরও পড়ুন : ভুলে যান লন্ডন-প্যারিস, কলকাতায় তৈরি হল টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম! সস্তায় দেখুন আন্ডারওয়াটার জু

দক্ষিণ ভারতে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একটি অক্ষরেখা তৈরি হতে হয়েছে যার ফলে বাংলার প্রায় সর্বত্র হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। শুধু পশ্চিম বর্ধমানের বৃষ্টিপাত হবে না। আপাতত একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধপ্রদেশে যা আগামী ৬ ঘন্টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। পরবর্তী ৬ ঘন্টায় শুধুমাত্র সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবেই অবস্থান করবে ঘূর্ণিঝড়টি।

আরও পড়ুন : ৩১শে ডিসেম্বরের আগেই সেরে নিন আধার, FD এবং ব্যাঙ্কের এই কাজগুলো, না হলে পড়বেন সমস্যায়

বাংলায় এই মুহূর্তে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হয়নি। গত কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বুধবার তা এক ধাক্কায় ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে। তবে নিম্নচাপ সরে যাওয়ার পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে বলেই মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

আরও পড়ুন : ভুলে যান লক্ষ্মীর ভান্ডার, বাংলার মেয়েদের ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যর