Longest Sea Bridge In India : গত ১২ই জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার দেশের সবথেকে দীর্ঘ সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতুটি মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক নামে পরিচিত হলেও এর নাম দেওয়া হয়েছে অটল সেতু (Atal Setu)। সেতুটি তৈরি করতে কত খরচ হলো বা সেতুটি তৈরি হওয়ার পরে ভারতীয়রা কী কী সুযোগ সুবিধা পেতে চলেছেন, সেটাই আপনাদের জানাবো এই প্রতিবেদনে।
অটল সেতুর সম্পূর্ণ নাম
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সেতুটি গত শুক্রবার উদ্বোধন করেছেন সেই সেতুটির পুরো নাম অটল বিহারী বাজপেয়ী সেওরি নভাসেবা অটল সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ২১.৮ কিলোমিটার, এর মধ্যে ১৬.৫ কিলোমিটার রয়েছে সমুদ্রের উপরে। এই সেতু তৈরি হওয়ার ফলে মুম্বাই থেকে নবী মুম্বাই সহ অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে খুব সহজেই।
মুম্বাইয়ের সেওরি থেকে রায়গরের চিরলে সংযোগকারী এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আজ থেকে ৬ দশক আগে শুরু হয়েছিল। তবে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। এই সেতুটি ৬ লেনের তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুটি দিয়ে যানবাহন ছুটবে প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি বেগে।
কোন দুটি শহরকে জুড়ে দিল অটল সেতু?
এই সেতুটি তৈরি করার ফলে মুম্বাইয়ের দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে খুব সহজে। আগে মুম্বাই থেকে নবি মুম্বাই যেতে সময় লাগবে ২ ঘন্টা। এই সেতুটি তৈরি হওয়ার পর সেই দূরত্ব মাত্র ১৫ বা ২০ মিনিটের মধ্যে পার করে ফেলতে পারবেন যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, এটি তৈরি হওয়ার পর মুম্বাইতে যে অতিরিক্ত যানজটের সমস্যা রয়েছে, তার কিছুটা হলেও সমাধান হয়ে যাবে। তবে যে কোন যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে না।
অটল সেতুর উপর চলাচল করতে পারবে না এই যানবাহনগুলি
এই সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে না বাইক, রিক্সা, অটো এবং ট্রাক্টর। সেতুটির ওপর প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করার জন্য ওয়ান ওয়ে টোল বাবদ দিতে হবে ২৫০ টাকা। প্রতিবছর এই টোলের দাম পুনঃ বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন : ভারতের সেরা ১০ টি সমুদ্র সৈকত, যেখানে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না
অটল সেতু তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়েছে?
সেতুটি তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। AI ক্যামেরা সহ একাধিক বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে সুরক্ষার জন্য। সেতুর ওপর যানবাহন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলেও যাতে যে কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক প্রযুক্তি। ভারতের সব থেকে দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হয়েছে ১৭৮৪০ কোটি টাকা।