Model Code of Conduct : ১৬ই মার্চ থেকে ৪ঠা জুন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সব রাজনৈতিক দলকেই এই নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্যও রয়েছেন বেশ কিছু নিয়ম। যেগুলো ভঙ্গ করলে হতে পারে শাস্তি। আদর্শ আচরণবিধিতে কী কী নিয়ম রয়েছে? দেখে নিন এক নজরে।
আদর্শ আচরণবিধি কী?
দেশজুড়ে যাতে অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ সম্পন্ন করা যায় তার জন্য মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়। সরকার, বিরোধী সব দলের জন্য এই সময়কালে কড়া নিয়ম থাকে। গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালায় নির্বাচন কমিশন।
আদর্শ আচরণ বিধিতে কী কী নিয়ম থাকে?
- মন্দির, মসজিদ, গুরুদুয়ারা, চার্চের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা যায় না।
- সরকারি কর্মীদের বদলি কিংবা নতুন পদে প্রমোশন দেওয়া যায় না।
- এই সময়কালে মন্ত্রীরা সরকারি যানবাহন নিয়ে কেবল বাড়ি এবং অফিসে যাতায়াত করতে পারবেন।
- নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকলে কোনও ঘোষণা, শিলান্যাস বা উদ্বোধন করা যায় না।
- আদর্শ আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। এমনকি তার জেল হতে পারে।
- কোথাও মিটিং, মিছিল করার থাকলে স্থানীয় পুলিশের থেকে অনুমতি নিতে হয়।
- রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যায় না।
- ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচারের অনুমতি থাকে না।
- ভোট কেন্দ্রে পোস্টার, পতাকা, প্রতিক বা অন্য কোনও প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন করা যায় না।
- ভোটারদের ঘুষ দেওয়া আবার ভয় দেখানো যাবে না। ভোটারদের মদ বিতরণ করা যাবে না।
- রাজনৈতিক দলগুলো কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে দিনে ১০ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবে না।
- যে এলাকায় ভোট হবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগে সেখানে কোনও দল প্রচার করতে পারবে না।
- নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে গেলে নেতা থেকে সাধারণ কেউই নিজের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ রাখতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার সবথেকে সহজ পদ্ধতি
নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙলে কী শাস্তি হয়?
- কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
- ভোট প্রক্রিয়া থেকে অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে দেওয়া হতে পারে।
- সাধারণ মানুষের উপরেও লাগু থাকে নির্বাচনী আচরণবিধি। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করলে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হয়।
- ইলেকশন কমিশন পর্যবেক্ষক, রিটার্নিং অফিসার, লোকাল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ ইলেক্ট্রাল অফিসারের মাধ্যমে ইলেকশন কমিশন সমস্ত এলাকার উপর কড়া নজরদারী চালায়।