Money Investment : ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা থাকুক, এই স্বপ্ন সকলেই দেখে। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তা পূরণ হয় না। পূরণ করতে হয়। সামান্য বুদ্ধি খরচ করলেই কম পারিশ্রমিক থেকেও অর্থ সঞ্চয়ের মাধ্যমে আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি (Crorepati)। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে SIP বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি হতে পারেন কোটি টাকার মালিক।
SIP-তে বিনিয়োগ করার সুবিধা
বর্তমান সমাজে সিস্টেমেটিক ইনভেসমেন্ট প্ল্যান (Systematic Investment Plan) এমন একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি খুব সামান্য পদ্ধতি অবলম্বন করেই হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) গুলি SIP – এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়। এতে কোন গ্যারান্টি যুক্ত রিটার্ন না থাকলেও কম ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই রিটার্ন কয়েক বছরে গড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে। তাই দীর্ঘমেয়াদে ভালো অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আপনি বিনিয়োগ করতেই পারেন এতে।
২০ হাজার টাকা বেতনেও কীভাবে হবেন কোটিপতি?
ধরুন আপনার বেতন মাসিক ২০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে বেতনের ২৫% অর্থাৎ ৫০০০ টাকা যদি প্রতি মাসে আপনি সঞ্চয় করেন তাহলেই যথেষ্ট। তবে চেষ্টা করবেন প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এই বিনিয়োগের অর্থ বাড়ানোর। আপনার বেতন যদি ৫০ হাজার টাকা হয় তাহলে প্রতিমাসে আপনি আপনার বেতনের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০০০ টাকা অনায়াসে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
SIP -তে ১০ হাজার টাকা করে জমা করলে কত রিটার্ন পাবেন?
আপনি যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে SIP -তে বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। প্রতিমাসে যদি ১০ হাজার টাকা আপনি বিনিয়োগ করেন, সেক্ষেত্রে ২০ বছরের মধ্যেই আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। SIP ক্যালকুলেটর অনুসারে, টানা ২০ বছর ধরে যদি আপনি ১০ হাজার টাকা জমা করেন, সেক্ষেত্রে ২০ বছর পর আপনি মোট বিনিয়োগ করতে পারবেন ২৪,০০,০০০ টাকা।
আরও পড়ুন : ৯৪ লাখ পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার! কারা পাবেন সুযোগ?
SIP আপনাকে দেবে ১২ শতাংশ রিটার্ন। ১২ শতাংশ রিটার্ন অনুযায়ী আপনি পেয়ে যাবেন ৭৫,৯১,৪৭৯ টাকা। সব মিলিয়ে আপনি পাবেন ৯১,৯১,৪৭৯ টাকা। বুঝতেই পারছেন, আপনার বিনিয়োগ এবং সুদ সবমিলিয়ে মেয়াদ পূর্তিতে আপনি পেয়ে যাবেন প্রায় ১ কোটি টাকা। তবে বিনিয়োগের অর্থ যদি আপনি বাড়াতে পারেন তাহলে আরও বেশি রিটার্ন পাবেন আপনি।
আরও পড়ুন : মাসে ২-৩ হাজার টাকা জমিয়েও হতে পারবেন কোটিপতি! জানুন কীভাবে
প্রসঙ্গত, আপনি যদি কম সময়ের মধ্যে কোটিপতি হতে চান তাহলে অপ্রয়োজনীয় খরচ অবশ্যই আপনাকে বন্ধ করতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় ব্যয়ের একটি তালিকা তৈরি করে সেই অর্থ ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতেই পারেন। অনলাইন শপিং বা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে বা যাবতীয় বাড়তি খরচ বন্ধ করে যদি আপনি মাসিক একটি টাকা জমাতে পারেন তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে কিন্তু আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি।