Cashless Treatment : চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবার বড়সড়ো স্বস্তি পেতে চলেছে বীমাকারীরা। এবার থেকে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে যে কোনও হাসপাতাল থেকে। গত বুধবার জেনারেল ইন্সুরেন্স কাউন্সিলের (General Insurance Council) তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে এই সুযোগ-সুবিধা পেতে শুরু করেছেন বীমাকারীরা (Health Insurance)।
ক্যাশলেস চিকিৎসা কী?
ক্যাশলেস চিকিৎসার ক্ষেত্রে বীমা কারীদের অগ্রিম কোনও টাকা জমা না দিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায়। হাসপাতালের বিল মেটায় বিমা সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। বীমা ক্রয় করার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু বিনা খরচায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না। নূন্যতম ৩০ দিন পর এই সুযোগ-সুবিধা পান বীমা কারীরা।
কীভাবে যেকোনও হাসপাতালে ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা পাবেন?
এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে বীমা সংস্থাকে জানাতে হবে। এমারজেন্সির ক্ষেত্রে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থাকে জানাতে হবে। সময়মতো সংস্থাকে না জানাতে পারলে সুবিধা পাওয়া যাবে না।
এতদিন শুধুমাত্র যে হাসপাতালের সঙ্গে বীমা সংস্থা যুক্ত, সেই হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা করাতে হতো বীমা কারীদের। এবার থেকে কোনও হাসপাতাল যদি বীমা সংস্থার তালিকাভুক্ত নাও হয়, সে ক্ষেত্রেও এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন : বাড়বে LPG সিলিন্ডারের ভর্তুকি? রান্নার গ্যাস নিয়ে মধ্যবিত্তের জন্য বড় পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকারের
এই নতুন নিয়মের অধীনে বীমা কারীরা বিনা খরচায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি হওয়ার জন্য অথবা চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা খরচা করতে হবে না। যেদিন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, সেদিন বীমা সংস্থা যাবতীয় বিল মিটিয়ে দেবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে দারুন উপকৃত হবেন বীমা কারীরা।
আরও পড়ুন : ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে এই ৫টি নিয়ম, জেনে নিন নতুন নিয়ম
ক্যাশলেস ক্লেম কি বাতিল হতে পারে?
যদি সংস্থার শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় বীমাকারী, সেক্ষেত্রে এমারজেন্সি বা পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্লেম বাতিল হয়ে যেতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বীমা ক্লেম না করা যায় বা হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসার যথাযথ নথি যদি জমা না দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বীমার ক্লেম বাতিল হয়ে যেতে পারে।