Chinese Product Ban In India : ভারত (India) এবং চীনের (China) মধ্যে সম্পর্ক যে একেবারেই ভালো নেই, তা সকলেই জানে। মহামারী থেকে শুরু করে সীমান্ত যুদ্ধ, প্রতিনিয়ত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ভারতের। চীনের বহু জিনিস ভারতের ব্যান করে দেওয়া সত্ত্বেও বেআইনিভাবে চীনের মালপত্র ঢুকে যাচ্ছে ভারতের বাজারে। এবার ভারতের বাজারে চিনা জিনিস বিক্রি করার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল ভারত সরকার (Central Government)।
চীনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ভারত সরকারের
ভারত- চীন সীমান্তে অশান্ত পরিবেশ এবং মহামারীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারানোর পর চীনের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ ভারত বর্ষ। চিনা জিনিস বর্জন করে ভারতীয় জিনিস ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর জোর দেওয়ার জন্য সব রকম প্রচেষ্টাই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একটা পর্যায় পর্যন্ত সেটা কাজও করেছিল। কিন্তু ফের ভারতের বাজার, বিশেষত ইলেকট্রনিক বাজারে ছেয়ে গেছে চিনা পণ্য। চিনা পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে লাগাম টানার চেষ্টা করলেও অসফল হতে হচ্ছে ভারত সরকারকে। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় সরকার।
চীনা জিনিস ভারতে বিক্রি করলে দোকানদারের কী শাস্তি হবে?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দোকানদাররা যদি খারাপ মানের ইলেকট্রনিক জিনিস বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি কোন ব্যবসায়ী চিনা খারাপ ইলেকট্রনিক জিনিস বিক্রি করে, সে ক্ষেত্রে জেলে এবং জরিমানা দুটোই হবে তার। ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে ওই ব্যবসায়ীর। তবে শুধু ব্যবসায়ী নয়, গ্রাহকদেরও সচেতন থাকার কথা বললেন মোদি সরকার।
জিনিস কেনার সময় কীভাবে সতর্ক থাকবেন গ্রাহকেরা?
ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিতে হবে বিউরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স চিহ্ন। এই চিহ্ন না থাকলে কোনরকম ইলেকট্রনিক পণ্য কেনা যাবে না। বিআইএস (BIS) চিহ্ন না থাকলে ধরে নিতে হবে সেই সমস্ত ইলেকট্রনিক জিনিসে নেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া গুণগত মান। তাই যে কোনো সময় বিপদ হতেই পারে। ইলেকট্রনিক্স জিনিস কেনার সময় গ্রাহকরা যদি সচেতন হন তাহলে আপনা আপনি ভারতের বাজারে বন্ধ হয়ে যাবে চিনা পণ্য বিক্রি।
আরও পড়ুন : শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে মোদিই সেরা! ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে সেরার সেরা খেতাব পেলেন নরেন্দ্র মোদী
চীনের কোন কোন সামগ্রী ভারতে ব্যান করা হয়েছে?
তবে শুধু ইলেকট্রনিক জিনিস নয়, সারা দেশে যখন মহামারী ছড়িয়ে যায় তখনই চীনের প্রায় ৩০০টির বেশি অ্যাপ ব্যান করে দেওয়া হয় ভারতে। এর মধ্যে বেশ কিছু গেমিং অ্যাপও ছিল। টিকটক এবং পাবজি ব্যান হওয়ার পর সারা ভারতবর্ষে যেভাবে আলোড়ন উঠেছিল, সেটা আমাদের সকলেরই জানা। তবে শুধু অ্যাপ নয়, চীনের বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনও ভারতবর্ষে আমদানি করা বন্ধ করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে এল বিশ্বের ধনী দেশের তালিকা, তালিকায় ভারতের নম্বর কত?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে ভারতের সমস্যার জেরে চীন থেকে যে দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী আমদানি হত, তা ব্যান করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, চীনের সমস্ত স্টিলের জিনিসও ব্যান করে দেওয়া হয় ভারতে। তবে সরকার যতই পদক্ষেপ গ্রহণ করুন না কেন, ভারতবাসী যদি সচেতন না হন তাহলে সরকারের পক্ষে কখনোই সম্ভব না প্রতিপক্ষ দেশের সঙ্গে লড়াই করা।