সিম-ইন্টারনেট ছাড়া যত খুশি করুন ভিডিও কল! নতুন পদক্ষেপ ভারত সরকারের

D2M Service : প্রিয়জন যতই দূরদেশে মানুষ থাকুক না কেন, ভিডিওকলের (Video Calling) মাধ্যমে সেই দূরত্ব যেন নিমেষে শেষ হয়ে যায়। এই ভিডিও কলের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ইন্টারনেট (Internet) এবং সিম (Sim Card)। কিন্তু আপনার কাছে যদি কোনটাই না থাকে, সে ক্ষেত্রেও আপনি করতে পারবেন ভিডিও কলিং। D2M পরিষেবার মাধ্যমে কীভাবে আপনি আপনার মোবাইল থেকে করতে পারবেন ভিডিও কল, জানুন এই প্রতিবেদনে।

D2M পরিষেবা কী?

D2M কথাটির অর্থ হল ডাইরেক্ট টু মোবাইল। এটি একটি নতুন প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আপনার মোবাইলে ভিডিও কলিং করার অনুমতি দেয়। এই প্রযুক্তিটি এফএম রেডিওর মতো কাজ করে। শুধু ভিডিও কলিং নয়, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আপনি আপনার ফোনে দেখতে পাবেন লাইফ টিভি এবং ভিডিও।

কোথায় কোথায় মিলবে D2M পরিষেবা?

এই প্রযুক্তিটি সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের কাছে। যে সমস্ত স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় না সহজে, সেখানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিম ও ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও কলিং করা যাবে ভীষণ সহজে। এই প্রযুক্তিটি যেহেতু ইন্টারনেট ট্রাফিকের ওপর নির্ভর করে না তাই ভিডিও কলিং করার সময় কোনও বাফারিং হবে না ফোনে।

কবে ভারতে আসবে এই D2M পরিষেবা?

D2M প্রযুক্তিটি ব্যবহার করলে মোবাইল ডেটা খরচ অনেকটাই কম হয়ে যাবে আপনার। এই পরিষেবা খুব শীঘ্রই ভারতে আসবে। এই পরিষেবা প্রচারের জন্য ভারত সরকার স্পেক্ট্রাম নিলাম করেছে সম্প্রতি। পরিষেবাটি এলে নিঃসন্দেহে ভারতের প্রযুক্তিগত দিক থেকে যে একটি বিপ্লব তৈরি হবে তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন : ২০২৪ -এর সেরা ৫টি ক্যামেরা স্মার্টফোন, যা DSLR -কেও টেক্কা দেবে

কী কী সুবিধা মিলবে এই D2M পরিষেবাতে?

তবে শুধু ভিডিও কলিং নয়,D2M পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি পাবেন সরকারের তরফ থেকে যে কোনও দুর্যোগ অথবা জরুরি অবস্থা সম্পর্কে সতর্কতা বার্তা। এছাড়াও পাবেন স্কুল এবং কলেজের অনলাইন সিলেবাস। বোঝাই যাচ্ছে এই পরিষেবা এলে ভারতের প্রত্যেকটি মানুষ ভীষণ উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন : ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে দেখা যাবে টিভি-সিনেমা! বড় ঘোষণা কেন্দ্র সরকারের

সম্প্রতি তথ্য এবং সম্প্রচার সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন, দেশের মোট ১৯ টি শহরে এই পরিষেবাটি পরীক্ষা করা হবে। গত বছর এই পরিষেবাটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাঙ্গালোর এবং নয়ডায় চালানো হয়েছিল। এই পরিষেবাটি একবার চালু হলে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের ওপরেও অনেক চাপ কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।