Online Scam : বিজ্ঞান যেমন আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে পৃথিবীকে জানার অনেক সুযোগ, তেমনি সামান্য একটি ভুলেই হয়ে যেতে পারে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি। গত কয়েক বছরে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এবার সমাজমাধ্যমে শুধু লাইক করতে গিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন পুনের এক ইঞ্জিনিয়ার।
অনেক সময় দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন পোস্টে কমেন্ট অথবা শেয়ার করলেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হয় রেস্ট্রিক্টেড। বেশ কয়েকদিন যাতে আপনি কোন অ্যাক্টিভিটি না করতে পারেন তেমনি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ফেসবুকের তরফ থেকে। প্রোফাইল হ্যাক তো নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে গেছে।
নতুন বছরে ৪০ বছর বয়সী অবিনাশ কৃষ্ণাকুট্টি কৃষ্ণাবারম নামক এক যুবকের কাছে বেশ কয়েকদিন আগে একটি মেসেজ আসে। মেসেজটিতে অনলাইনে পার্টটাইম কাজের প্রস্তাবের কথা বলা ছিল। প্রথমে ব্যাপারটিকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি অবিনাশ। কিন্তু পর পর বেশ কয়েকদিন একই মেসেজ আসতে থাকে তার কাছে।
এখন অনেকেই স্থায়ী কাজ করার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করেন বাড়তি উপার্জনের জন্য। অবিনাশের কাছেও যখন বাড়তি রোজগারের প্রস্তাব আসে তখন শেষমেষ তিনি সেই কাজের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অবিনাশের দিক থেকে উৎসাহ দেখাতে না দেখাতেই অন্য দিক দিয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি অবিনাশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
অবিনাশকে বলা হয় অনলাইনে নির্দিষ্ট কিছু পোস্টে লাইক করে সেগুলি মাঝে মাঝে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেই বাড়তি কিছু উপার্জন করতে পারবেন অবিনাশ। তবে এই কাজটি করার আগে কিছু টাকা জমা রাখতে হবে। প্রথম মাসের বেতনের সঙ্গে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। বাড়তি উপার্জনের আশায় অবিনাশ রাজি হয়ে যায় কাজটি করতে। আর সেখানেই হয়ে যায় বিপদ।
আরও পড়ুন : ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর কেন এত জরুরী? কাকে বাগে আনতে চাইছে ED?
অচেনা ঐ ব্যক্তির কথামতো কিছু টাকা জমা করে কাজ শুরু করাই কাল হলো অবিনাশের। পুনের এই ইঞ্জিনিয়ার একেবারেই বুঝতে পারেননি, প্রতিটি লাইক পিছু ১ লক্ষ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। ব্যাংকের মেসেজ খেয়াল করেননি অবিনাশ। কিন্তু ততক্ষণে ২০টি লাইক করে ফেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : রাজ্যের কতগুলি পুরসভায় কতজনের টাকার বিনিময়ে চাকরি? সংখ্যাটা জেনে অবাক বিচারপতি
অবিনাশ যখন মেসেজে লক্ষ্য করেন তখন বুঝতে পারেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চলে গেছে ২০ লক্ষ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়ে যায় তার। তড়িঘড়ি স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়েরকরেন অবিনাশ। কিন্তু তদন্তে নেমেও এই ঘটনার কোন কুল কিনারা করতে পারেননি পুলিশ। আর অবিনাশের টাকা তো ফেরত পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।