Indian Railways : কাজের সূত্রে হোক অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, রেল পরিবহন একমাত্র পরিষেবা যা আমাদের স্বল্প মূল্যে আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ সুবিধা দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন মহামারীর আগে সকল যাত্রীদের ট্রেনের টিকিটে (Train Ticket) দেওয়া হতো ৫৫ শতাংশ ছাড়। মহামারীর সময় সেই অফার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরেও কেন সেই ছাড় (Rail Ticket Discount) দেওয়া হয় না রেলের তরফ থেকে? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
ট্রেন টিকিটে ছাড় দেওয়া হয় সবাইকেই
প্রতিদিনই লোকাল ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেনে বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে সকলের ক্ষেত্রে ভাড়া এক নয়। লোকাল ট্রেন এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে যেমন ভাড়া আলাদা, তেমন দূরত্ব এবং কামরার শ্রেণী অনুযায়ী টিকিটের দাম আলাদা হয়। তবে টিকিটের দাম যেমনই হোক না কেন সকল শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য কিন্তু ছাড় দেওয়া হয় একই পরিমাণ।
করোনার সময় থেকে উঠে যায় ট্রেন টিকিটের ছাড়
করোনার আগে ট্রেনের সকল কামরার যাত্রীদের টিকিটে ৫৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হতো। কিন্তু করোনার সময় থেকে সেই ছাড় উঠে যায়। কিন্তু এখন তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কেন তাহলে ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে না ট্রেনের টিকিটে? প্রশ্ন উঠতেই টিকিটের ছাড় প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করলেন রেলমন্ত্রী।
টিকিটের ছাড় প্রসঙ্গে কী জানালেন রেলমন্ত্রী?
গত বৃহস্পতিবার আমেদাবাদে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজকর্ম দেখতে যান রেলমন্ত্রী। সেখানে রেলমন্ত্রীকে টিকিটের ছাড় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে রেলমন্ত্রী জানান, অনেক আগে থেকেই রেল সকল যাত্রীদের ট্রেনের টিকিটের ওপর ৫৫ শতাংশ ছাড় দেয়।
আরও পড়ুন : ৫৯৭টি স্টেশনে চালু হল অত্যাধুনিক ব্যবস্থা! দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন যাত্রীরা
তিনি আরো বলেন, কোনও টিকিটের যদি বাজার মূল্য ১০০ টাকা হয় সেক্ষেত্র রেল ৬৬ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে ৪৫ টাকা নেয় যাত্রীদের থেকে। ব্যাস এইটুকুই বলেন তিনি। এর বাইরে আর কোনও কথা বলেননি রেলমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : কখন কনফার্ম তৎকাল টিকিট ক্যানসেল করলে ফেরত পাবেন টাকা? জানুন রেলের নিয়ম
প্রসঙ্গত, মহামারীর সময় থেকে সকল কামরার শ্রেণীর বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকিটে যে ছাড় পেতেন তা তুলে দিয়েছে রেল। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলেও তা আর চালু হয়নি। জানা যায়, ২০২২- ২০২৩ অর্থ বর্ষে ১৫ কোটি বয়স্ক যাত্রীদের টিকিট মূল্য থেকে রেল আয় করেছে প্রায় ২২৪২ কোটি টাকা। তবে শুধু ট্রেনের টিকিট নয়, স্টেশনে বিক্রয় হওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র থেকেও আয় করে রেল।