Artificial Intelligence : আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। আগামী ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গোটা অযোধ্যাকে সেদিন মুড়িয়ে ফেলা হবে নিরাপত্তা চাদরে। কিন্তু এর মধ্যেই শোনা গেলো আরও একটি খবর। অযোধ্যার কাছেই তৈরি হতে চলেছে ভারতের প্রথম AI শহর।
গত বছর থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence একপ্রকার গোটা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসার পর যেমন কিছু মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন এই প্রযুক্তিকে তেমন কিছু মানুষ একেবারেই মেনে পারেননি এই প্রযুক্তিটিকে। মাত্র ১ বছরের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে চাকরি হারাতে হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে। এবার ভারতের বুকে তৈরি হতে চলেছে আস্ত একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শহর।
লাখনৌ-এর নাদারগঞ্জ এলাকায় তৈরি হতে চলেছে এই শহরটি। ইতিমধ্যেই ইউপি ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেড AI সিটির নকশা, উন্নয়ন এবং পরিচালনার জন্য দরখাস্তের আহ্বান করেছে, যা গ্রহণ করলেই লখনৌ হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম আইটি হটস্পট। আগামী দিনে দিল্লি, মুম্বাই বা চেন্নাইকে পেছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাবে লখনৌ।
এই শহরটি গড়ে উঠলে আগামী দিনে বিলাসবহুল এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, বিনোদনের এলাকা, আবাসিক কমপ্লেক্স, AI ভিত্তিক বাস, বাণিজ্যিক স্থান সহ আরো অনেক বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা সহজ হবে। ইতিমধ্যেই আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগ লখনৌতে সম্ভাব্য জমি চিহ্নিত করে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর তৈরি এই শহরটি ৪০ একর জমি নিয়ে তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত জাপান! ফোনে আপনি কীভাবে পাবেন ভূমিকম্পের এলার্ট? করুন শুধু ছোট্ট এই কাজ
নাদারগঞ্জ শহরটি লখনৌয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়াও এই অঞ্চলটি লখনৌ কানপুর-মহাসড়কের নিকটবর্তী হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ এই অঞ্চলটিতে প্রাইম লোকেশন বেসের সুযোগ-সুবিধা থাকায় এই শহরটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে AI সিটি স্থাপনের জন্য। ইতিমধ্যেই ইউপিএলসি শীর্ষস্থানীয় রিয়েল স্টেট ডেভেলপমেন্ট কাজ থেকে আবেদন চেয়ে একটি ইওআই জারি করেছে।
আরও পড়ুন : শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে মোদিই সেরা! ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে সেরার সেরা খেতাব পেলেন নরেন্দ্র মোদী
এই প্রকল্পের জন্য নাদারগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের ৪০ একর জমি দেওয়া হবে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিগুলিকে। এছাড়াও ডেভলপারদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে যাতে এই শহরটি খুব শীঘ্রই গড়ে তোলা যায়। আইটি পার্কের জন্য এককালীন ২০ কোটি টাকা ক্যাপেক্স সহায়তা, এবং আইটিসিটির জন্য ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্যাপেক্স সহায়তা দেওয়া হবে ডেভেলপারদের।