ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজ পাঠালেই হবে জেল! ভুলেও ফরওয়ার্ড করবেন না

ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে গত মার্চ মাসেই। এখন গোটা দেশজুড়ে নির্বাচনী আচরণবিধি চলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও যাতে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা না ছড়ায় তার জন্য একাধিক নিয়ম নিষেধাজ্ঞা এবং সতর্কতা ছড়ানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের (Ellection Commission) তরফ থেকে। এই সময় ফোনে কল এবং মেসেজ করা থেকেও সাবধান থাকতে হবে। কারণ মেসেজ এবং ফোন কলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিধি লঙ্ঘন করলেই যেতে হবে জেলে।

ভোটের সময় সাধারণত SMS এবং কলের পরিমাণ বেড়ে যায়। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভোটের সময় SMS এবং কলের পরিমাণ প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন বেড়ে যায়। এই সময় বাল্ক মেসেজ এবং কলের জন্য খরচ হয় অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। নিয়ম অনুসারে বাল্ক মেসেজ বা ভয়েসে কিছু পাঠানোর আগে মিডিয়া সার্টিফিকেট নিতে হবে। যা ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কোন কোন মেসেজ ট্র্যাক করা হবে?

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন টেলিকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে যাতে বাল্ক মেসেজ এবং কলের জন্য খরচ ট্র্যাক করা যায়। নির্বাচন সম্পর্কিত পোলের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের KYC নিতে শুরু করেছে টেলিকম সংস্থাগুলো। একসঙ্গে যদি অনেক জনকে মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠাতে হয় সেক্ষেত্রে মিডিয়া সার্টিফিকেশন থাকলেও নির্বাচন কমিশন ট্র্যাক করবে।

ভোটের সময় ফোনের মাধ্যমে কোন কোন কাজ করা যাবে না?

  • ব্যাপক হারে পোল সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো যাবে না।
  • নির্বাচন সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য বা বিজ্ঞাপন মেসেজ বা কলের মাধ্যমে পাঠাবেন না।
  • কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে তার সত্যতা যাচাই করুন। যদি দেখেন এই মেসেজটি অনেকবার ফরওয়ার্ড করা হয়েছে তাহলে নিজে সেটাকে আর ফরওয়ার্ড করবেন না।
  • একসঙ্গে অনেক জনকে বাল্ক মেসেজ বা ভয়েস রেকর্ডিং পাঠাবেন না।
  • কোনও নির্দিষ্ট দলকে বা ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া সংক্রান্ত মেসেজ পাঠাবেন না।
  • টাকা নিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে এমন মেসেজ পাঠাবেন না বা কলে এমন কথা বলবেন না।
  • কোনওরকম ভয় দেখানো মূলক মেসেজ বা ভয়েস রেকর্ডিং পাঠাবেন না।

আরও পড়ুন : Voter ID কার্ড না-থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জেনে নিন কীভাবে

সতর্ক হন হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক ব্যবহারের নিয়েও

ভোটের সময় অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার হার বাড়ছে। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞরা এই সময় বিশেষ করে অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভোটের নাম করে সাইবার অপরাধীরা আপনাকে ভুয়ো লিঙ্ক পাঠাতে পারে। লিঙ্কে ক্লিক করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে তবেই খুলুন।