সবুজ মটর বলে যা খাচ্ছেন সেগুলো আসলে কী? জানলে আর খাবেন না

Avatar

Published on:

Fried Green Peas Are Not Safe For Health Know Details

Fried Green Peas : যারা লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন তারা প্রায়শই হকারদের থেকে কিনে খান সবুজ মটর (Green Peas)। বাদাম, ডাল মুগের পাশাপাশি এই সবুজ মটর মানুষের ভীষণ প্রিয়। কিন্তু এই যে সবুজ মটর খাচ্ছেন, সেটা যে মটরশুঁটি ভাজা নয় তা কি আপনি জানেন? সম্প্রতি সামনে উঠে এসেছে এমন একটি তথ্য যা শুনলে ভয় পেয়ে যাবেন আপনি।

শিয়ালদহ বৈঠকখানা মার্কেটের এক দোকানদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “এত সবুজ মটর কোথায় পাওয়া যাবে? কারিগররা মটরের সঙ্গে রং দিয়ে সবুজ মটর বানিয়ে আমাদেরকে দিয়ে যায়। আমরা বিক্রি করি। তবে সবুজ মটর কোথায় ভাজা হয় সেটা আমরা জানি না।”

দিনে কত কেজি সবুজ মটর বিক্রি হয়?

শিয়ালদহ শাখা ট্রেনের এক হকারের বক্তব্য, সারাদিনে প্রায় ৪ থেকে ৫ কেজি সবুজ মটর তিনি বিক্রি করেন বাসে ও ট্রেনে। ৫ টাকা এবং ১০ টাকার প্যাকেটে তিনি এই মটর বিক্রি করেন। তবে শুধু সবুজ মটর নয়, বাদাম এবং ডালমুট ভাজাও বিক্রি করেন তিনি।

ওই হকার আরো জানান, যদি প্রকৃত মটর বিক্রি করা হতো, তাহলে তার রং এতটা গাঢ় হত না। দামটাও বেশি হতো। কাঁচা মটরশুটিকে শুকনো করে তৈরি করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই যদি আসল মটরশুটি বিক্রি করা হতো তাহলে দাম অনেকটাই বেশি হতো।

কীভাবে বানানো হয় সবুজ মটর

হলুদ মটর পদ্ধতি অনুযায়ী রং করে সবুজ মটর তৈরি করা হয়। রং করা মটরশুটিতে ব্যবহার করা হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার, কোনও ফুড কালার ব্যবহার করা হয় না। রং করার ফলে এগুলি অনেক বেশি নমনীয় হয়ে যায়। খেয়াল করে দেখবেন, হলুদ ভাজা মটরের থেকে এই সবুজ মটর মুখে দিলেই ভেঙে যায় সহজেই। সব থেকে বড় কথা, বড়দের পাশাপাশি এই মটর শিশুরাও খায়, তাদের শরীরে ক্ষতির পরিমাণটা অনেক বেশি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন : রাতবিরেতে হার্ট অ্যাটাকের ভয়? হাতের কাছেই রাখুন এই কয়েকটি ওষুধ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রতিদিন কয়েকশো কেজি মটর বিক্রি হয় কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়

একজন হকার সারাদিনে যদি ২ কেজি সবুজ মটর বিক্রি করেন তাহলে ১০০ জন হকার সারাদিনে বিক্রি করেন ২০০ কেজি সবুজ মটর। হিসেব অনুযায়ী কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো কেজি মটর বিক্রি হয়। বুঝতেই পারছেন, ক্ষতির পরিমাণটা কতটা বেশি।

আরও পড়ুন : আরও কমল দাম, ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আগে কতটা সস্তা হল সোনা?

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, “যেগুলি আসল মটরশুটি হয়, তাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফোলেট, ফসফরাস, ভিটামিন এ, কে এবং সি। এই প্রোটিনগুলি ওজন কমাতে এবং পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু রং করা মটরগুলি খেলে পেট খারাপ হতে পারে এবং অনেকাংশে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।”