How To Apply For Birth Certificate : গত বছরের ১লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ (আমেন্ডমেন্ট) ২০২৩ আইন। এই আইন অনুসারে এখন থেকে বার্থ সার্টিফিকেট প্রত্যেক ভারতীয় শিশুর জন্মের পরপরই বের করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। জন্মের সার্টিফিকেট কীভাবে পাবেন? কারা দেয়? আবেদন কোথায় এবং কীভাবে করবেন জেনে নিন।
বার্থ সার্টিফিকেটের আবেদন কোথায় করবেন?
শহর হলে মিউনিসিপাল কর্পোরেশন, গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বিডিও অফিস বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয় থেকে বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে।
বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফর্ম কোথায় পাবেন?
শিশু যে হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে সেই হাসপাতাল থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাওয়া যাবে। বা অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকেও ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন।
বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য অফলাইনে কীভাবে আবেদন করবেন?
রেজিস্ট্রেশন ফর্ম তুলে তাতে শিশুর জন্মের তারিখ, সময়, জন্মস্থান, পিতা-মাতার পরিচয়, নার্সিংহোম বা হাসপাতালের বিবরণ দিন। তারপর এই ফর্মটি জমা করার পর রেজিস্ট্রার রেকর্ড চেক করবেন। বার্থ সার্টিফিকেট পেতে এরপর ৭ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
অনলাইনে কীভাবে বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করবেন?
- https://janma-mrityutathya.wb.gov.in/ ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
- Citizen Service অপশনে ক্লিক করুন। ড্রপ ডাউন মেনুতে Birth, Death, Form অপশনের মধ্যে Birth অপশন ক্লিক করুন।
- New Registration অপশনে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো খুলে যাবে।
- যাবতীয় আপডেট দিন, মোবাইল নম্বর লিখুন।
- মোবাইল নম্বরে OTP আসবে সেটা লিখলে নতুন পেজ আসবে। এটাই আসল ফর্ম।
- শিশুর জন্মের তারিখ, লিঙ্গ, নাম, পদবী লিখুন।
- শিশুর জন্মস্থান, রাজ্য এবং জেলা লিখুন। হাসপাতালে জন্ম হলে জেলা, ব্লক বা পুরসভা, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের অপশনের মধ্যে সঠিকটা নির্বাচন করুন। হাসপাতালের নামের লিস্টের মধ্যে থেকে সঠিকটা বেছে নিন।
- বাবা ও মায়ের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। পরিচয় পত্র স্ক্যান করে ২৫০ কেবির মধ্যে ডকুমেন্ট হিসেবে আপলোড করে দিতে হবে।
- শিশুর মায়ের ঠিকানা লিখতে হবে। এক্ষেত্রে মায়ের ঠিকানা এবং শিশুর বার্থ সার্টিফিকেটে যে ঠিকানা থাকবে দুটো এক হলে ভালো হয়।
- বাবা-মায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, পেশা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
- ফর্ম ১ ডাউনলোড করে নিয়ে সেটা প্রিন্ট করে হাতে সমস্ত তথ্য লিখুন। তারপর সেটা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
- হাসপাতাল থেকে নবজাতকের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট আপলোড করতে হবে।
- এবার Submit করে দিন। একটা একনলেজমেন্ট নাম্বার পাবেন সেটা দিয়ে আবেদনের স্ট্যাটাস জানা যাবে।
- শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে গেলে মোবাইলে মেসেজ আসবে। ফোন নাম্বার এবং একনলেজমেন্ট নম্বর দিয়ে বার্থ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্কে কতগুলো অ্যাকাউন্ট খোলা যায়? একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে কি কি সমস্যা হয়?
বার্থ সার্টিফিকেট বের করার জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?
- হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে শিশুর জন্ম হলে মেডিকেল অফিসারের সার্টিফিকেট লাগবে।
- হাসপাতালে শিশুর জন্ম না হলে গ্রাম পঞ্চায়েত, স্থানীয় কাউন্সিলর বা কোনও এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে শিশুর নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, জন্মের তারিখ লিখে তার সিলমোহর এবং স্বাক্ষর সমেত সার্টিফিকেট পেশ করতে হবে।
- মা-বাবা দুজনেরই বার্থ সার্টিফিকেটের কপি লাগবে।
- মা ও বাবার বিয়ের সার্টিফিকেট লাগবে।
- মা ও বাবার আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড বা অন্য কোনও সচিত্র সরকারি পরিচয় পত্র লাগবে।
- ঠিকানার প্রমাণপত্র লাগবে।
- ফর্মে উল্লেখিত সমস্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি হলফনামা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১০০০ টাকা ঢুকছে কিনা চেক করুন এইভাবে
কত দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট বের করা জরুরী?
শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট বের করে নিতে হবে। যদি ১ বছরের বেশি দেরি হয় সে ক্ষেত্রে জেলাশাসক স্তরের সরকারি আধিকারিককে দিয়ে জন্মের তারিখ যাচাই করিয়ে নিতে হবে।