কোন পাথরে তৈরি হল রামলালার মূর্তি? কেন এমন কালো পাথরই ব্যবহার হল?

Ram Mandir Ramlalla Idol : প্রায় কয়েকশো বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন (Ram Mandir Inaugration) হলো। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে গোটা দেশে এখন শুধুই খুশির আমেজ। রাম লালার মুর্তি (Ramlalla Idol) দেখে যেন গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। যেন স্বয়ং নারায়ন নেমে এসেছেন মর্তে। এই রামলালার মূর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলেও অনেকেই জানেন না এই মূর্তি তৈরি হয়েছে কোন শিলায়? কেনই বা ঐ শিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে মূর্তি গঠন করার জন্য?

রামলালার মূর্তি

প্রথমেই বলি রাম-লালার মূর্তি সম্পর্কে কয়েকটি কথা। রামলালার মূর্তিতে তুলে ধরা হয়েছে শ্রীরামচন্দ্রের ৫ বছর বয়সী বালক অবস্থার প্রতিমূর্তি। একটি পদ্ম ফুলের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি ছোট্ট বালক যার মুখে রয়েছে মৃদু হাসি। একবার দেখলে যেন চোখ ফেরাতে ইচ্ছা করে না। এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন কর্নাটকের প্রখ্যাত ভাস্কর শিল্পী অরুণ যোগীরাজ।

কোন শিলায় তৈরি হয়েছে রামলালার মূর্তি?

রাম মন্দিরের গর্ভ গৃহে যে মূর্তিটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেই মূর্তিটির ওজন প্রায় ২০০ কেজি। উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে কর্নাটকের মহীশূর জেলার এইচডি কোট তালুকের বুজ্জেগৌদানাপুরা গ্রামের একটি অনন্য কৃষ্ণ শিলা পাথর দিয়ে। এই শিলাটিকে বলা হয় নেল্লিকারু শিলা।

কেন এই শিলা বেছে নেওয়া হল?

নেল্লিকারু শিলাকে কৃষ্ণ শিলাও বলা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রঙের মতো এই শিলাটির রঙ বলে একে বলা হয় কৃষ্ণ শিলা। এই শিলাটিকে রাম লালার মূর্তি তৈরি করার কাজে ব্যবহার করার কারণ হলো এই শিলাটি ভীষণ নরম প্রকৃতির হয়।

আরও পড়ুন : ৫০০ বছর আগে কে ভেঙেছিল রাম মন্দির? কী পরিণাম হয়েছিল তার জানেন?

এই শিলার বৈশিষ্ট্য কী?

নেল্লিকারু শিলা নরম প্রকৃতি হওয়ার কারণে ভাস্কর্য শিল্পের জন্য এই শিলাটি ভীষণ আদর্শ। এই ধরনের শিলা প্রথমে নরম থাকলেও দু-তিন বছরের মধ্যে শক্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে শিলাটি নরম হওয়ার কারণে ভাস্কর্য শিল্পীরা তাদের কাজের জন্য সব সময় বেছে নেন এই শিলাটিকে। এইসব কারণের জন্যই রামলালার মূর্তি তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কৃষ্ণ শিলা।

আরও পড়ুন : কেমন সাজানো হয়েছে রাম মন্দির? ঘুরে দেখুন অন্দরমহল

প্রসঙ্গত, মোট তিনটি মূর্তি তৈরি করতে দেওয়া হয়েছিল যার মধ্যে অরুণ যোগীরাজের মূর্তিকে বেছে নেওয়া হয় গর্ভগৃহে স্থাপন করার জন্য। অরুণ যোগীরাজের পরিবার ৫ প্রজন্ম ধরে ভাস্কর্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। রামের মূর্তি ছাড়াও কেদারনাথে শংকরাচার্যের ১২ ফুটের মূর্তি, ইন্ডিয়া গেটের পেছন দিকে ৩০ ফুটের নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের মূর্তি এবং মাইসুরে একটি ২১ ফুটের হনুমানের মূর্তি তৈরি করেছেন এই শিল্পী।