Indian Railways : মহামারীর সময় যখন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন হকাররা (Hawker)। আর এই মুহূর্তে হকারদের তান্ডবে জর্জরিত ভারতীয় রেল (Indian Railways)। শহর হোক অথবা গ্রাম, প্রতিটি স্টেশনে যেভাবে হকার ছেয়ে গেছে তাতে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। এবার যাত্রীদের এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করার জন্যই শিয়ালদাহ (Sealdah) লাইনে আনা হলো নতুন নিয়ম।
দিনের পর দিন বেড়েই চলছে হকারদের সমস্যা
হাওড়া লাইনে ঘনঘন ট্রেন থাকার কারণে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না যাত্রীদের, কিন্তু শিয়ালদা লাইনে ব্যাপক ভিড় হওয়ার কারণে যাত্রীদের হতে হয় নাকাল। এর মধ্যে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে হকার সমস্যা। শিয়ালদহ ডিভিশনে বিশেষ করে বিধাননগর রোড, পার্ক সার্কাস, টালিগঞ্জ, বজ বজ, বাঘাযতীন, গড়িয়া, সুভাষ গ্রাম, সোনারপুর, বারুইপুর সহ একাধিক স্টেশনে এই সমস্যা বেড়েই চলছে প্রতিনিয়ত।
যাত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হকারদের সংখ্যা
এই প্রসঙ্গে রেলের বক্তব্য, যে সমস্ত স্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দোকান তৈরির কাজ। স্বাভাবিকভাবেই সংকীর্ণ হচ্ছে পরিসর। রীতিমতো প্রাণ হাতে করে ট্রেনে ওঠা নামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রতিদিন বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
হকারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল
শুধু যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে অসুবিধা হচ্ছে তা নয়, বিভিন্ন স্টেশনে যেভাবে খাবারের দোকানে গ্যাস, কেরোসিন স্টোভ জ্বালিয়ে খাবার তৈরি করা হয় তাতে একটি বড়সড়ো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে রেল। যে কোনও বড় রকম দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই তাই এবার তৎপর হয়ে উঠেছে পূর্ব রেল।
আরও পড়ুন : অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বড় পরিবর্তন, বদলে গেল ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের নিয়ম
সমস্যায় পড়বেন বহু হকার
যাত্রীদের সুবিধার্থে তাই এবার বড়সড়ো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পূর্ব রেল। তবে রেলের এই সিদ্ধান্তের কারণে যে বহু মানুষের পেটে লাথি পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এক্ষেত্রে শুধু নিয়ম জারি করলে হবে না, এগিয়ে আসতে হবে যাত্রীদেরও। যাত্রীরা সহযোগিতা না করলে এই নিয়ম কোনও ভাবেই কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে রেল।
আরও পড়ুন : ১০ মিনিটে সিটে না বসলেই টিকিট ক্যানসেল! জেনে নিন ভারতীয় রেলের নতুন নিয়ম
যাত্রীদের প্রতি রেলের নির্দেশ
সম্প্রতি জারি করা একটি বিবৃতিতে রেল জানিয়েছে, শীঘ্রই স্টেশন গুলিতে জবরদখল তোলা হবে। পাশাপাশি রেলের তরফে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্টেশন চত্বরে এই সমস্ত বেআইনি দোকানগুলি থেকে যাতে তারা না কেনেন। যাত্রীরা যদি সজাগ হন এবং নিয়ম মেনে চলেন তাহলে অল্পদিনের মধ্যেই স্টেশন চত্বর থেকে বেআইনি দোকানগুলিকে সরিয়ে ফেলতে পারবে রেল।