ওয়েটিং লিস্টের দিন শেষ! ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে আসছে নতুন ব্যবস্থা

দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে সব সময় যে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়া যায় তেমনটা নয়। এমনকি যাত্রার তিনমাস আগে টিকিট কাটলেও যে কনফার্ম টিকিট মিলবেই তেমন সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ যাত্রীকেই থাকতে হয় ওয়েটিং লিস্টে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আদেও টিকিট কনফার্ম হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা রেল দেয় না। তবে আগামী দিনে রেল পরিবহন ব্যবস্থাতে এমন কিছু পরিবর্তন আসবে যে ওয়েটিং লিস্টের ধারণাই আর থাকবে না।

বিজেপি সরকার দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের পর রেল পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে। পুরনো এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি এখন সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। অন্যদিকে আবার বুলেট ট্রেনও চালু হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যার ফলে আগামী দিনে ট্রেন সংখ্যা আরও বাড়বে।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভারতীয় রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, আগামী দিনে গোটা দেশ জুড়ে ৩১ হাজার নতুন রেলপথ চালু হবে। প্রত্যেক বছর নতুন ৫ হাজারটি করে ট্র্যাক তৈরি হবে।

আরও পড়ুন : ট্রেনে মোবাইল-ল্যাপটপ চার্জ দেওয়া নিয়ে কড়া আইন রেলের, না মানলেই হবে জেল

বর্তমানে কম সময়ে এবং কম খরচে যাতায়াতের জন্য রেল পরিবহন ব্যবস্থার উপর ভরসা করেন কোটি কোটি মানুষ। আগামী দিনে দেশের প্রত্যেক ‌ মানুষ যাতে আরও বেশি উপকৃত হতে পারেন রেল পরিবহন ব্যবস্থা থেকে তার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশে নতুন নতুন ট্র্যাকে নতুন নতুন ট্রেন চালু হলে ওয়েটিং লিস্ট বলে আর কিছু থাকবে না। তখন সব টিকিট কনফার্ম হবে।

আরও পড়ুন : ভারতীয় রেলে কত ধরনের ওয়েটিং লিস্ট হয়? কোনটায় কী কী সুবিধা

বর্তমানে যাত্রী সংখ্যার তুলনায় রেলের সিট সংখ্যা সীমিত। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অনেকগুলো রেলপথ ও ট্রেন চালু হয়ে যাওয়ার কারণে সিট সংখ্যা আরও বাড়বে। ২০৩০ সালের মধ্যেই ওয়েটিং লিস্টের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। এর পাশাপাশি রেলস্টেশনগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হবে। যেখানে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।