New Business Ideas : বর্তমান সমাজে শুধু পুরুষরা নয়, মহিলারাও হয়ে উঠছেন স্বনির্ভর। একটি মহিলার স্বনির্ভরতা শুধু তাকে যে সম্মান এনে দেয় তা নয়, একটি পরিবারকেও স্বচ্ছলতা এনে দেয়। এমনই কিছু মহিলা ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করে হয়ে উঠছেন স্বনির্ভর। আজ এই প্রতিবেদনে জানানো হবে মালদার সেই মেয়েদের কথা, যারা আচার ব্যবসা করে মাসে রোজগার করছেন হাজার হাজার টাকা। আপনিও ঘরোয়া এই পদ্ধতিতে আচার তৈরি করে মাসে রোজগার করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা।
ঘরোয়া আচারের চাহিদা বিশ্বজুড়ে
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচারের চাহিদা এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। দিনের পর দিন বেড়েছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই আচার তৈরি করার চাহিদা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করে তেমনই লাভবান হচ্ছেন মালদহের এক দল মহিলা। শুধু আচার বিক্রি করেই তারা হয়ে উঠেছেন স্বনির্ভর। তাদের আচারের সুনাম এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
মালদার এই মহিলারা আচার বিক্রি করেই হয়েছেন স্বনির্ভর
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গ্রামের কিছু মহিলা মূলত আমের আচার তৈরি করেন। তবে যখন আম পাওয়া যায় না, তখন তারা চালতার আচার তৈরি করে বিক্রি করেন। এই আচার ব্যবসা করেই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন এই গোষ্ঠীর সকল সদস্য। আপনিও চাইলে আপনার পছন্দের ফলের আচার বাড়িতে তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। এতে দরকার শুধু পরিশ্রম আর সময়।
আচার বিক্রি হয় কলকাতা থেকে দিল্লি
প্রতি সপ্তাহে ১ কুইন্টাল আচার যদি তৈরি করতে পারেন তাহলেই হয়ে যাবেন লাভবান। মালদার স্বনির্ভর এই মহিলারা সপ্তাহে প্রায় ১ কুইন্টাল আচার তৈরি করে বিক্রি করছেন দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন শহরে। মূলত ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে এই আচার বিক্রি করা হয়। ১০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত বোতলের আচার বিক্রি করেন এনারা।
আরও পড়ুন : চাকরির চিন্তা ভুলে যান, কম পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করলে মাসে কামাবেন মোটা টাকা
এই ব্যবসা প্রসঙ্গে তাপসী মন্ডল বলেন, “আগে কিছুই কাজ করতাম না। এখন আচার বিক্রি করে ভালো রোজগার করছি। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কাজে লাগে এই টাকা। আশা করছি আগামী দিনে আরো ভালো রোজগার হবে। এই আচার তৈরি করতে কোনও রকম কেমিক্যাল বা অন্য জিনিস মেশানো হয় না।”
আরও পড়ুন : চাকরি ছেড়ে আজই করুন এই ব্যবসা, দূর হবে টেনশন আজীবন পাবেন পেনশন
ঘরে আচার তৈরি করে মাসে রোজগার হয় কয়েক হাজার টাকা
এই প্রসঙ্গে পিংকি হালদার বলেন, “প্রথমদিকে সেরকম আচারের চাহিদা ছিল না। আমরা সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করি। এখন এই আচারের চাহিদা কলকাতা, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। আমরা মাসে ৩০,০০০ টাকার বেশি রোজগার করছি। সাধারণত বাড়িতে যে পদ্ধতিতে আচার তৈরি করা হয় সেভাবেই আচার তৈরি করি আমরা।”