Mid Day Meal New Menu Chart : দেশের একটি শিশুও যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফ থেকে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নামের এক দারুণ কার্যকরী প্রকল্প চালু হয় কয়েক দশক আগে। বিজেপির আমলে সেই মিড ডে মিল প্রকল্পের নাম বদলে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা (PM Poshan Scheme)। পড়ুয়াদের পুষ্টির দিকে নজর রাখাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এবার এই প্রকল্পের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খাবার-দাবারের মেনু বেঁধে দিল প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনাতে প্রত্যেকটি সরকার পোষিত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন দুপুরে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হয়ে থাকে। যদিও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময় এই প্রকল্পে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ পুষ্টিকর খাবার না দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এবার তার মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।
প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে এবার থেকে সপ্তাহে যে কদিন স্কুল খোলা থাকবে সেই দিনগুলোতে প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা খাবারের বন্দোবস্ত হবে। যার ফলে পড়ুয়াদেরও মিড ডে মিলের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে এবং তারা প্রতিদিন স্কুলে আসবে। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা ভাবে বিশেষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত মেনু অনুসারে সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার পড়ুয়াদের বিভিন্ন রকমের সবজি দেওয়া খিচুড়ি এবং চাটনি পরিবেশন করা হবে। সেই সঙ্গে ভাত, মুসুরির ডাল সয়াবিন এবং আলুর তরকারি পাতে পড়বে তাদের। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার মেনুতে থাকবে ভাত, ডাল মরশুমী শাক-সবজির তরকারি।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফেল! এবার ১০,০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, চালু হল নতুন প্রকল্প
তৃতীয় দিনে অর্থাৎ বুধবার পড়ুয়াদের পাতে পড়বে ভাত, ডিম এবং আলুর তরকারি। চতুর্থ দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছাত্র-ছাত্রীদের ভাত মুসুরির ডাল এবং পোস্ত দেওয়া হবে। পঞ্চম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ভাত মুসুরির ডাল এবং সোয়াবিন আলুর তরকারি থাকবে মেনুতে। শনিবার অর্থাৎ ষষ্ঠ দিনে দেওয়া হবে, ভাত, মসুর ডাল এবং ডিম সেদ্ধ।
আরও পড়ুন : ১ কোটি পরিবারকে বড় উপহার দেবে রাজ্য সরকার, জানুন কীভাবে পাবেন সুবিধা
এখানেই শেষ নয়, স্কুলগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে মাসে একদিন মাছ অথবা মাংসের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে প্রশাসনিকভাবে এই নতুন মেনু সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে প্রত্যেকটি স্কুলে। যদিও শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি মিড ডে মিলের জন্য সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দ অত্যন্ত কম এবং সেই টাকা দিয়ে এত আয়োজন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।