মোবাইল দিয়ে মাসে ৪-৫ হাজার টাকা ইনকাম করার সবথেকে সহজ উপায়

বর্তমানে চাকরি কিংবা ব্যবসা ছাড়াও অনলাইনে টাকা রোজগারের অনেক পথ রয়েছে। বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে আপনি এক পয়সা খরচ না করেও ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এমন সুযোগ দিচ্ছে বেশ কিছু মানি আর্নিং অ্যাপ্লিকেশন। আজকের এই প্রতিবেদন রইল সেরকমই কিছু অর্থ উপার্জনকারী অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে। বিস্তারিত জেনে নিন।

মানি আর্নিং অ্যাপ্লিকেশন কী?

এমন বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো আপনি আপনার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিয়ে সেগুলোর ব্যবহারে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গেম খেলে বা সার্ভে করে টাকা রোজগার করা যায়, তার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা অ্যাপ্লিকেশন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এগুলো ডাউনলোড করতে হয়।

এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করলে ইউজারদের বিভিন্ন সময়ে রিওয়ার্ড দেওয়া হয়। সেটা হতে পারে নগদ টাকা, কিংবা কোনও গিফট কার্ড বা অন্যান্য সুযোগ। ইউজার যত বেশি সময় এবং দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে পারবেন তিনি তত বেশি রোজগার করতে পারবেন। এরকম কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সন্ধান রইল নিচে।

সার্ভে অ্যাপ

এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে বিভিন্ন সমীক্ষাতে অংশ নিতে হয় ইউজারকে। এই অ্যাপ্লিকেশনে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ বা স্পন্সাররা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। ইউজারকে তার উত্তর দিতে হয়। এর বিনিময়ে নগদ টাকা বা গিফট কার্ড পাওয়া যায়।

ক্যাশব্যাক অ্যাপ

কোনও দোকানে কিংবা ই-কমার্স সাইটে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন মারফত কেনাকাটা করলে খরচের একটা অংশ আবার গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয়। নগদ টাকা বা রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেওয়া হয় ইউজারকে যা তিনি অন্য কিছু কেনাকাটা সময়ে বা বিল পেমেন্টের সময় খরচ করতে পারেন।

রেফারেল অ্যাপ

কিছু অ্যাপ্লিকেশন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শেয়ার করলে তার মাধ্যমেও কমিশনের টাকা মেলে। আপনার পাঠানো অ্যাপের রেফারেল লিঙ্ক থেকে যদি কেউ সাইন আপ করেন তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন কমিশনের টাকা।

আরও পড়ুন : পোস্ট অফিসের সেরা ৫ টি সরকারি স্কিম

সেল অ্যান্ড আর্ন অ্যাপ

অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য কিংবা পরিষেবা বিক্রি করার মাধ্যমেও কমিশন পেতে পারেন। এমন সুযোগও দিচ্ছে বেশ কিছু ই-কমার্স সাইট ও অ্যাপ্লিকেশন।

ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ্লিকেশন

বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায়। যেগুলোর মাধ্যমে জ্ঞান এবং দক্ষতা অনুসারে ভালো আয় করা যায়। কেউ কনটেন্ট লিখে, কেউ মার্কেটিং করে আবার কেউ গ্রাফিক ডিজাইনার, ডেভেলপমেন্টর হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আরও পড়ুন : পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আজীবন বসে খাবেন

গিগ ইকোনোমি অ্যাপ

এই ধরনের অ্যাপে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন ইউজাররা। ড্রাইভিং, পার্সেল পৌঁছে দেওয়া কিংবা অন্যান্য ধরনের পরিষেবা তারা দিতে পারেন।