৪১৭ টাকা জমিয়ে পাবেন ৪০ লাখ! গ্রাহকদের মালামাল করে দেবে পোস্ট অফিসের এই স্কিম

Post Office Investment : বছরের পর বছর ধরে দেশের মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে আসছে পোস্ট অফিস (Post Office)। ভারত সরকারের অন্তর্গত পোস্ট অফিসে রয়েছে একাধিক স্কিম। মাসিক ইনকাম থেকে শুরু করে পেনশন প্রকল্প, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা ডাবল সহ আরও কত কী! আজ পোস্ট অফিসের পিপিএফ (PPF) বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund) সম্পর্কে তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে। জানুন এখানে নূন্যতম টাকা রেখেও কীভাবে আপনি কোটিপতি হতে পারবেন।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড

ভারত সরকারের অনুসারে ব্যাঙ্ক কিংবা নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে আপনি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের একাউন্ট খুলতে পারেন। নিয়মিত বিনিয়োগে মেয়াদপূর্তির পর কোটিপতিও হতে পারবেন আপনি। নিয়ম অনুসারে প্রতিবছর ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা রাখতে হয় এই অ্যাকাউন্টে। লক ইন পিরিয়ড ১৫ বছর।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে কীভাবে জমাবেন টাকা?

এই একাউন্টে বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। নিয়ম অনুসারে যেকোনও উপার্জনকারী ব্যক্তি একক আমানতে কিংবা এক আর্থিক বছরে ১২ টি কিস্তিতে টাকা জমা দিতে পারবেন। আয়করের ৮০C ধারা অনুসারে এখানে কর ছাড়ের বন্দোবস্ত রয়েছে। এছাড়া পিপিএফের ম্যাচিউরিটির পরিমাণের উপরেও কর ছাড়ের বন্দোবস্ত রয়েছে।

পিপিএফের সুদের হার কত?

ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সরকার এই একাউন্টে সুদের হার পরিবর্তন করে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসেবে এই একাউন্টে এখন ৭.১% হারে সুদ দেওয়া হয়। মেয়াদপূর্তির সময়সীমা ১৫ বছর। তবে বিনিয়োগকারীরা ১৫ বছর পর টাকা তুলে না নিয়ে আরও ৫ বছরের জন্য অ্যাকাউন্টটি চালিয়ে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন : বিনিয়োগ করলেই টাকা ডাবল! রইল পোস্ট অফিসের সেরা ৫ টি স্কিমের হদিশ

কীভাবে পিপিএফ একাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পাবেন?

বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা মানে মাসে আপনাকে ১২, ৫০০ টাকা হিসেবে জমাতে হবে এই স্কিমে। অর্থাৎ দিনে ৪১৭ টাকা করে জমাতে হবে। তাহলে ১৫ বছরে আপনার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এর উপর ৭.১% হারে সুদের হিসেবে আপনি মোট সুদ পাবেন ১৮ লক্ষ ১৮ হাজার ২০৯ টাকা। অর্থাৎ ম্যাচিউরিটির পর আপনি হাতে পাবেন ৪০ লক্ষ ৬৮ হাজার ২০৯ টাকা।

আরও পড়ুন : বছরে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেও হতে পারবেন লাখপতি! জানুন পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে কত রিটার্ন মিলবে

ম্যাচিউরিটির পর টাকা না তুললে কী লাভ পাবেন?

১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর টাকা তুলে নেওয়ার পরিবর্তে বরং অন্যান্য বিকল্পগুলোয় পুনরায় বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে দাবী করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি যদি আর মাত্র ২ বার ৫ বছরের জন্য পুনরায় বিনিয়োগ করেন তাহলে পরবর্তী ১০ বছরে হাতে পেয়ে যাবেন ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। ২৫ বছর বয়সে কেউ এইভাবে বিনিয়োগ করতে শুরু করলে ৫০ বছর বয়সে তিনি সুদ বাবদ ৬৬ লক্ষ টাকা এবং নিজের বিনিয়োগ ৩৭ লক্ষ টাকা অর্থাৎ মোট ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা পাবেন। যা সম্পূর্ণ কর মুক্ত থাকবে।