Tax Free Investment : ঝুঁকি ছাড়া নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা করলে আপনার কাছে পোস্ট অফিস (Post Office) এবং ব্যাঙ্ক (Bank) ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। তবে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ (Investment) করলে সেক্ষেত্রে কর (Tax) দিতে হয় গ্রাহকদের। কিন্তু আজ এমন একটি স্কিমের কথা আপনাদের জানানো হবে যেখানে আপনি মোটা টাকার অর্থ বিনিয়োগ করলেও আপনাকে দিতে হবে না কোনও কর। জানুন সেই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত।
নিশ্চিত রিটার্ন ও করমুক্ত বিনিয়োগ
কোনও রকম রিস্ক ছাড়া ভালো রিটার্ন পাওয়ার স্কিমগুলির মধ্যে অন্যতম হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund)। যে কোনও ব্যক্তি নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন এতে। এই স্কিমে আপনি পেয়ে যাবেন নিশ্চিত রিটার্ন এবং সবথেকে বড় কথা ম্যাচিউরিটি সময় কোনও রকম কর দিতে হবে না আপনাকে। এই স্কিমে যে ম্যাচুরিটি ভ্যালু পাওয়া যায় তা পুরোপুরি করমুক্ত।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হয় কমপক্ষে ১৫ বছরের জন্য। যদি বিনিয়োগের সময় বাড়াতে পারেন তাহলে ভালো রিটার্ন পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে। আপনি যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ২৬ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন ম্যাচিউরিটি ভ্যালু। আপনি চাইলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন কিন্তু তার জন্য রয়েছে তিনটি অপশন।
টাকা তোলার জন্য রয়েছে ৩ টি অপশন
প্রথম অপশনটি হল, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পুরো টাকা তুলে নিতে পারেন আপনি। এই অর্থ আপনার সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে যা পুরোপুরি করমুক্ত। দ্বিতীয় অপশন হল মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যদি আপনি ওই অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে দেন তাহলে জমানো টাকার উপর একটি সুদ পাবেন যেটি আপনি যে কোনও সময় তুলে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন : বছরে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেও হতে পারবেন লাখপতি! জানুন পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে কত রিটার্ন মিলবে
তৃতীয় অপশন হল মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৫ বছরের জন্য ফের লগ্নি করার সুযোগ পাবেন আপনি। তবে পুনরায় লগ্নি করতে হলে আপনাকে ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে অবগত করতে হবে, নাহলে এই সুবিধা পাবেন না আপনি। এই স্কিমে আপনি পেয়ে যাবেন ঋণ নেওয়ার সুযোগ সুবিধা।
আরও পড়ুন : ৪১৭ টাকা জমিয়ে পাবেন ৪০ লাখ! গ্রাহকদের মালামাল করে দেবে পোস্ট অফিসের এই স্কিম
পাবেন ঋণের সুবিধা
কেন্দ্র PPF লগ্নিতে ৭.১% সুদ দিচ্ছে তাই এই অ্যাকাউন্টে আপনার জমানো অর্থের ওপর ঋণ নিতে পারেন আপনি। তবে ৮.১ শতাংশ সুদের হারে EMI দিতে হবে গ্রাহকদের। এছাড়া গ্রাহক যদি কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করতে পারে সেক্ষেত্রে সুদের হার বেড়ে যাবে অনেকটাই।