এই বছর ঠান্ডাটা বেশ দেরিতেই পড়ছে। ডিসেম্বর মাস এসে গেলেও সেভাবে জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হচ্ছে না কোথাও। এদিকে আবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। ক্রমে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর এই মুহূর্তে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর প্রভাব কত দূর পড়বে দক্ষিণবঙ্গে? জেনে নিন।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি আরও বাড়তে চলেছে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে মিগজাউম ১১০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের উপর দিয়ে পার হবে। তারপর সেটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়বে তার শক্তি। এমনিতে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়।
যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে খুব সামান্যই পড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার রাজ্যের কোথাও তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের কয়েকটি এলাকাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার বাকি জেলাগুলোর আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
তবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং নদীয়াতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলতে পারে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন : প্রতিমাসে রোজগার হবে ৯২৫০ টাকা, পোস্ট অফিসে স্বামী-স্ত্রী এইভাবে খুলুন অ্যাকাউন্ট
উত্তরবঙ্গেও তেমন বৃষ্টিরপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কেবল দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বুধবার অল্পবিস্তর বৃষ্টি হতে পারে। আজ সোমবার কলকাতার আকাশ মূলত থাকবে মেঘলা। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। স্বাভাবিকের থেকে যায় প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দার্জিলিং তৈরি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানুন কোথায় হবে
আইএমডির রিপোর্ট অনুসারে এই বছর নাকি তেমন শীত অনুভূত হবে না। শীতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। রিপোর্ট অনুসারে ১৯০১ সালের পর তৃতীয় উষ্ণতম নভেম্বর মাস ছিল এই বছরের নভেম্বর মাস। ২০২৩ সাল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হতে চলেছে। প্রধানত এল নিনো, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় এবং সেই সঙ্গে দুর্বল ও ধীর শৈত্যপ্রবাহ মূলত এর কারণ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : ভুলে যান লন্ডন-প্যারিস, কলকাতায় তৈরি হল টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম! সস্তায় দেখুন আন্ডারওয়াটার জু