গাইতে হবে রাজ্য সংগীত, এই দিনে পালন হবে রাজ্য দিবস! এল নবান্নের নির্দেশ

West Bengal State Song : জাতীয় সংগীত ছাড়াও এবার পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে শোনা যাবে রাজ্য সংগীত (State Song)। এবার থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচির শুরুতে গাইতে হবে রাজ্য সংগীত। পালন করা হবে রাজ্য দিবস। গত শনিবার নবান্নের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিধানসভায় আনা একটি প্রস্তাবে তৃণমূল সরকার রাজ্য দিবস এবং রাজ্য সংগীতের কথা বলেছিল। তবে রাজ্য সরকার যে দিনটিকে রাজ্য দিবস হিসেবে উদযাপন করার কথা বলেছিল, তার বিরোধিতা করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। বিরোধীদের একাংশের দাবি ছিল, ২০ই জুন তারিখটিকে রাজ্য দিবস হিসেবে পালন করা হোক, কিন্তু তা মানতে চায়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

বিধানসভার গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ১লা বৈশাখের দিনটিকেই রাজ্য দিবস হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে। গান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটিকে। তবে শুধু রাজ্য দিবসের দিন নয়, যে কোনো রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানেই দেওয়া হবে এই গান।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে অনুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলি শুরু হওয়ার সময় গাওয়া হবে রাজ্য সংগীত। ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের জন্য গানটি গাওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো সরকারি অনুষ্ঠানের আগে। অনুষ্ঠানের শেষে গাওয়া হবে জাতীয় সংগীত। দুটি গানের ক্ষেত্রেই সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে।

আরও পড়ুন : ১০০০ নয়, ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পাবেন বাংলার মানুষ! মিলবে এই দিন থেকে

গত বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হওয়ার আগে এই রাজ্য সংগীত গাওয়া হয়। রাজ্য সংগীত গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন সালমান খান, সৌরভ গাঙ্গুলী, অনিল কাপুরের মতো তারকারা। এছাড়াও স্পেনে শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্য সংগীত গেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : আজ থেকে বন্ধ রাজ্যের সব রেশন দোকান, ভোগান্তি গ্রাহকদের! কতদিন চলবে ধর্মঘট?

প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গাওয়া গানটির পরিবর্তিত ভার্সন গাওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে গত শনিবার নির্দেশিকায় দেখা গেছে, কোন পরিবর্তন ছাড়াই রবীন্দ্রসংগীতটিকে রাজ্য সংগীত হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্য সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি হওয়ায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।