Mukesh Ambani`s Gift To Ramlalla : গত ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। প্রায় ১১০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরটি। এই মন্দিরটি তৈরি করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের একাধিক নামিদামি ব্যক্তিত্বরা। আজ এই প্রতিবেদনে জানুন দেশের অন্যতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) কত টাকা দান করেছেন রাম মন্দির তৈরি করার জন্য?
রাম মন্দির উদ্বোধনে হাজির ছিলেন নামিদামি তারকারা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে গত সোমবার। এদিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিনোদন এবং ক্রীড়া জগতের একাধিক তারকা। উপস্থিত ছিলেন মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবার।
মুম্বাইয়ের বাসভবনকে আলোর সাজে সাজিয়ে তুলেছিলেন মুকেশ আম্বানি
এদিন মন্দির উদ্বোধনের আগেই মুকেশ আম্বানির মুম্বাইয়ের বাসভবন সেজে উঠেছিল আলোকসজ্জায়। সারা বাড়ি জুড়ে শুধুই লেখা ছিল রাম নাম। শুধু বাড়ি নয়, বাড়ির চত্বরে যত গাছ ছিল সেখানেও রাম নামের পতাকা লাগানো হয়েছিল। এমারজেন্সি সার্ভিস ছাড়া এদিন প্রত্যেক কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি।
রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন মুকেশ আম্বানি
রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন মুকেশ আম্বানি, নীতা আম্বানি, মেয়ে ইশা আম্বানি, জামাই আনন্দ পীরামল, দুই পুত্র আকাশ এবং অনন্ত আম্বানি, দুই পুত্রবধূ শ্লোকা মেহতা এবং রাধিকা মার্চেন্ট। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার অনেক আগেই মুম্বাই থেকে আকাশ পথে অযোধ্যায় উড়ে এসেছিলেন আম্বানি পরিবার।
আরও পড়ুন : রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বেতন কত? কী শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে পুরোহিত হতে?
রামলালাকে কী উপহার দিলেন মুকেশ আম্বানি?
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবার রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে দিয়েছেন ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পুজো উপলক্ষে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী মুকেশ আম্বানির পরিবারের তরফ থেকে দান করা হয়েছে মন্দিরের ট্রাস্টকে।
আরও পড়ুন : কত কেজি সোনা পেলেন রামলালা? দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, “রাম আসছে। এই দিনটি গোটা দেশজুড়ে রাম দীপাবলি হিসেবে পালিত হবে।” অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়ে মুকেশ আম্বানির পুত্র আকাশ আম্বানি বলেন, “এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। আমরা এখানে আসতে পেরে বেশ খুশি।”