Disease X : একটা মহামারী যখন আসে তখন সঙ্গে নিয়ে যায় হাজার হাজার প্রাণ আর দিয়ে যায় শুধুই আতঙ্ক। ২০২০ সালে করোনা নিয়ে এসেছিল তেমনি একটি আতঙ্ক যা মানুষের মধ্যে এখনও বর্তমান। শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীর কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন এই মহামারীতে (Pandemic)। বর্তমানে ভ্যাকসিনের হাত ধরে কিছুটা এই মহামারীর হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেলেও ফের ডিজিজ এক্স (Disease X) নামে একটি মহামারীর আগাম আতঙ্ক বার্তা শোনাল WHO।
করোনা মহামারীর থেকেও ভয়ংকর রোগ আসছে
করোনা সারা পৃথিবীকে বুঝিয়েছিল আতঙ্ক কাকে বলে। সারা বিশ্বজুড়ে যে মৃত্যু মিছিল বেরিয়েছিল, শুধু তাই নয়। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা পরিজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারেননি, শুধুমাত্র মহামারীর ভয়ে। আজ সেই দুঃস্বপ্ন থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে মানুষ। ভ্যাকসিনের হাত ধরে মৃত্যু সংখ্যাও কমেছে অনেকটাই। কিন্তু এর মধ্যেই ফের অন্য একটি মহামারীর আশঙ্কা বার্তা শোনা গেল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে।
Disease X নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
সোমবার থেকে পাঁচ দিন ব্যাপী সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব ইকোনমিক ফোরামের (WEF) বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে বিশ্বের বড় বড় নেতারা যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এই বৈঠকেই উঠে এসেছে ডিজিজ এক্স প্রসঙ্গ এবং তা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কোভিডের থেকে প্রায় ২০ গুন বেশি মৃত্যু হতে পারে এই মহামারীতে। তাই মহামারী ঠেকানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন WHO প্রধান।
কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে Disease X
ডিজিজ এক্স হলো আন্তর্জাতিক এপিডেমিক, যা অজানা প্যাথোজেন থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্যাথোজেন কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা কোন ছত্রাক হতে পারে। এই প্যাথোজেন নিমেষে কোটি কোটি মানুষকে সংক্রমিত করে দিতে পারে। এটি ঠিক কী প্রকারের বা কিভাবে এর সঙ্গে মোকাবিলা করা যাবে তা যদি অতিসত্বর জানা না যায়, তাহলে সারা বিশ্বে করোনার থেকেও বড় মহামারী ছড়িয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন : ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন লড়তে পারবেন না BJP -র এই সদস্যরা, ফাঁস ব্লু প্রিন্ট
কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে Disease X
আসন্ন এই মহামারী কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় বা স্বাস্থ্য পরিষেবার কী কী উন্নতি প্রয়োজন রয়েছে তা আলোচনা করা হয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে জানানো হয়, স্বাস্থ্য গবেষকদের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা জানাবেন WHO। এই রোগটি কিভাবে নির্ণয় করা যাবে, কোন ওষুধ এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারবে, কী ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন সবকিছু জানানো হবে WHO তরফ থেকে।
আরও পড়ুন : ভারত বয়কটের ফল! ধসে পড়লো মালদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা, ক্ষতি এত কোটির
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা শুরু হওয়ার ফলে ডিজিজ এক্স নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন হু বিশেষজ্ঞরা। এরপর ২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রোগের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে শীর্ষে ছিল এই মহামারীর নাম। ২০২৪ সালের ফের এই মহামারীর নাম সামনে উঠে আসায় কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত WHO।