এই প্রচন্ড গরমে বৃষ্টির অভাবের কারণে এখন আর শুধু ফ্যান চালিয়ে গরম থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরে ঘরে তাই এসির ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসি সাময়িক স্বস্তি দিলেও আদতে কিন্তু আপনার অজান্তেই আপনার শরীরেরই ক্ষতি করছে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে কঠিন রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এসিতে থাকার ফলে। কী কী সেগুলো? কীভাবে বাঁচবেন? জেনে নিন।
এসির হাওয়া থেকে শরীরে কোন কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে?
ক্লান্তি
সর্বক্ষণ এসিতে থাকার ফলে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দিচ্ছে। শরীরের এনার্জি কমে যাচ্ছে বহু মানুষের। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়াতে শরীরের মেটাবলিক হার কমে যায়। এনার্জির অভাবে কাজে-কর্মে আর মন বসছে না।
ডিহাইড্রেশন
সর্বক্ষণ এই এসিতে থাকলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ ঠান্ডাতে থাকার কারণে জল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না অনেকেই। এদিকে আবার প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। এসিতে থাকলে শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যাজমার সমস্যা
যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে শীতের সময় তারা কিছু বেশি কষ্ট পান। গরমের সময় এসিতে থাকার কারণে অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।
ত্বকের সমস্যা
এসিতে থাকলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল শুষ্কতা।
অ্যালার্জির সমস্যা
এসির ফিল্টারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ধুলোবালি জমতে থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের সমস্যা হতে পারে।
ড্রাই আইজ
এসি ঘরের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ঘরের মধ্যে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা এসির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এতে শুধু ত্বকের সমস্যা হয় না, চোখেরও সমস্যা হয়। চোখের জল শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : কত স্কয়ার ফুটের ঘরে কত টন AC লাগাতে হয়?
নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
সর্বক্ষণ এসি চালিয়েও এই সমস্ত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য কিছু টিপস ফলো করতে হবে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
- এসি চালানোর সময় তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দেবেন না। ২৬ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এসি চালান। এসির সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করুন।
- দিনে যতটা সম্ভব কম এসি ব্যবহার করুন। ভোরের দিকে এসি অফ করে দিন।
- কিছুক্ষণ এসি চালানোর পর যখন ঘর ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন এসি অফ করে দেওয়াই ভাল। এতে শরীরের অনেক সমস্যা কমে যাবে।