দক্ষিণবঙ্গ সহ সারা পশ্চিমবঙ্গবাসী যখনই ধীরে ধীরে শীতের আমেজ পেতে শুরু করছিল ঠিক তখনই হয়ে গেল আবহাওয়ার পরিবর্তন। শীতের পথ আটকে দাঁড়ালো গভীর নিম্নচাপ। বৃষ্টিপাত না হলেও আকাশের মুখ ভার রয়েছে গতকাল থেকেই। নিম্নচাপের ফলে তাপমাত্রাও বেড়েছে খানিকটা। চলুন জেনে নেওয়া যাক আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর কি বলছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সম্পর্কে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, আগামী ২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ বদলে যাবে ঘূর্ণিঝড়ে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোন পথে এগোচ্ছে বা কোথায় ল্যান্ড হবে তার এখনও কোন নির্দিষ্ট খবর দিতে পারেনি মৌসুম ভবন। তবে এই বৃষ্টির ফলে বাংলা যে কোনভাবে দুর্যোগগ্রস্থ হবে না তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন তারা। তাহলে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়?
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূলের মধ্যে যে কোন জায়গায় ল্যান্ড ফল হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে মিগজউম। নামটি দেওয়া হয়েছে মায়ানমারের তরফ থেকে। অন্ধ উপকূলের কাছে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার প্রভাব কিছুটা পড়বে উড়িষ্যার উপকূলে। এই মুহূর্তে কোথায় রয়েছে এই নিম্নচাপটি?
নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে রয়েছে উত্তর বাংলাদেশ, রাজস্থান, শ্রীলঙ্কা এবং আরব সাগরের মহারাষ্ট্র উপকূলে। বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোন প্রভাব না থাকলেও উপকূল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বাকি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাপমাত্রা বাড়বে এই নিম্নচাপের প্রভাবে। আপাতত ৪ তারিখ পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলেই মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : জাতীয় সড়কের মাইল ফলকের আলাদা আলাদা রং হয় কেন? এই রং এর মানে কী?
এই মুহূর্তে পশ্চিমের জেলা গুলির তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৮° সেলসিয়াসের মধ্যে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে এই নিম্নচাপ কেটে গেলে ফের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে উত্তুরে হওয়া এবং সঙ্গে পাকাপাকিভাবে প্রবেশ করবে শীত। বোঝাই যাচ্ছে, শীতের জন্য আপাতত কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে।
আরও পড়ুন : একের বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন? জানেন এতে কী কী বিপদে পড়তে হবে আপনাকে?