পৃথিবী ধ্বংস হবে কবে, কীভাবে? মাথা খারাপ করার মত খবর দিলেন বিজ্ঞানীরা

জন্ম মৃত্যু যেমন একটি চিরসত্য ঘটনা, তেমন সৃষ্টির সঙ্গে ধ্বংসও আসে প্রকৃতির নিয়মে। এই একই নিয়ম আমাদের পৃথিবীর ক্ষেত্রেও রয়েছে। কষ্ট হলেও মেনে নিতে হয়, আমাদের সাথে সাথে পৃথিবীরও হচ্ছে বয়স, তাই কোটি কোটি বছর আগে সৃষ্টি হওয়া পৃথিবীও যে একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে তা স্বীকার করতেই হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বাবা ভাঙ্গা, সকলের মুখেই বারবার উঠে এসেছে পৃথিবী ধ্বংসের কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন ঠিক কোন কারণে আর কবে পৃথিবী হবে ধ্বংস? জানুন কি তথ্য উঠে এল গবেষণায়।

প্রতিবছর একটু একটু করে কমে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রাণবায়ু। গ্রীষ্মকাল এলেই আমরা টের পাই কিভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যে ওজোন স্তরের দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়, সেই ওজোন স্তরও ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে, ফলে আমাদের প্রিয় গ্রহের উপর সূর্যের তাপমাত্রার প্রভাব পড়ছে সরাসরি।

SEA

বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, যে গতিতে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে এবং বরফ গলে যাচ্ছে তা সত্যি চিন্তার বিষয়। এইভাবে পরিস্থিতি এগোতে থাকলে পৃথিবীতে অক্সিজেনের মাত্রাও কমতে শুরু করবে ধীরে ধীরে। সামুদ্রিক প্রাণীরা মারা যাবে এর প্রভাবে। তবে জল দিয়ে এই সমস্যা শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে বাতাসে, যার ফলে অনেক প্রজাতি খুব শীঘ্রই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে।

আজ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবী তৈরি হয়েছিল তখন পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন মিথেন এবং জলীয় বাষ্প ছিল অনেক বেশি মাত্রায়। পৃথিবীর বুকে ব্যাপক গাছপালা থাকায় অক্সিজেনের কোনদিন কোন অভাব হয়নি। এই মুহূর্তে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ২১ শতাংশ অক্সিজেন রয়েছে, যা সমগ্র প্রাণীজগতের প্রাণ বায়ু। কিন্তু মানুষের স্বেচ্ছাচারিতার ফলে সেই প্রাণবায়ু ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

LAST DAY ON EARTH

আরও পড়ুন : বাড়ির দরজায় কাঁচের গ্লাসে রাখুন লেবু ও জল, এবার দেখুন কী কী হয়

আজ থেকে ২.৪ বিলিয়ন আগে গ্রেট অক্সিডেশন ইভেন্ট হয়েছিল, যার ফলে কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের পরিমাণ কিন্তু পরবর্তীকালে তা ফের বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা তেমনি একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। বায়ুমণ্ডলের ডিঅক্সিজেনেশন এবং বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের আর্কিয়ান স্তর ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ মিলিয়ন একর বন কেটে ফেলা হয়েছে যার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।

আরও পড়ুন : শীতকালে গিজার ফেটে যায় কেন? গিজার ফেটে বিস্ফোরণ এড়াতে কী কী করবেন না?

LAST DAY ON EARTH

আরও পড়ুন : নীতা আম্বানির এই হাতঘড়ির দাম কত? টাকার অংক আপনার কল্পনারও বাইরে

গোটা পৃথিবীতে গ্রীন হাউস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই ডিঅক্সিজেনেশন শুরু হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলের আগে জলস্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তাপমাত্রার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথেই কমে যাবে অক্সিজেন এবং কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। গবেষণার ভিত্তি অনুযায়ী, ২১০০ সালের দিকে এই মহাপ্রলয় হতে পারে তবে যেভাবে পৃথিবী গরম হচ্ছে তাতে এই মহাপ্রলয় যে হতে আর বেশি বছর দেরি নেই তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন : ভুলে যান লন্ডন-প্যারিস, কলকাতায় তৈরি হল টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম! সস্তায় দেখুন আন্ডারওয়াটার জু