১০ বছর পর ৫০ হাজার টাকার মূল্য কত হবে? জানলে ঘুরে যাবে মাথা

Inflation Calculator : দিন প্রতিদিন কমছে টাকার দাম। মুদ্রাস্ফীতি যে হারে বাড়ছে তা অকল্পনীয়। ১০০ টাকা দিয়ে আজ যা যা জিনিস কেনা যাচ্ছে ৫ বছর পর সেগুলো আর কেনা যাবে না। ভবিষ্যতে পণ্য এবং অন্যান্য পরিষেবার দাম বাড়বে। তুলনামূলকভাবে কমতে থাকবে টাকার দাম। ভবিষ্যতে টাকার মূল্য ঠিক কী হারে কমতে চলেছে তা বোঝার চেষ্টা করুন এই প্রতিবেদন থেকে।

ইনফ্লেশন ক্যালকুলেটর

বর্তমানে আপনার কাছে যে পরিমাণ টাকা রয়েছে আজ থেকে ৫, ১০, ১৫ কিংবা ২০ বছর পর তার তেমন মূল্য থাকবে না। আজকে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে আপনি যা কিছু কিনতে পারছেন কয়েক বছর পর সেসব কিনতে আপনাকে বেশি খরচ করতে হবে। বর্তমানে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.০৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় প্রত্যেক মাসে বদলাতে থাকে।

২টি সূচক ধরে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাপ করা হয়। প্রথমটি হল কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Consumer Price Index) এবং দ্বিতীয়টি হল হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (Whole Sale Index)। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে খুচরো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হয়। হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সে পাইকারি স্তরের মূল্যের পরিবর্তনের গণনা হয়।

২০ বছর পর ৫০ হাজার টাকার মূল্য কত হবে?

বর্তমানে ২০২৪ সালে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.০৯ শতাংশ। SEBI এর ইনফ্লেশন ক্যালকুলেটরের হিসেবে অনুসারে ১০ বছর পর ৫০,০০০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে ৮১ হাজার ৪৪৪ টাকা খরচ করতে হবে। ২০ বছর পর ১.৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ এই হিসেবে টাকা দাম আগামী ২০ বছরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ কমবে। ৫০, ০০০ টাকার মূল্য ২৫ হাজারের নিচে নেমে যাবে।

কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করবেন

ভবিষ্যতে টাকার মান গণনা করার জন্য SEBI এর ইনফ্লেশন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। দেখুন স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি।

  • https://investor.sebi.gov.in/calculators/inflation_calculator.html ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
  • টাকার অংক লিখুন।
  • মুদ্রাস্ফীতির হার লিখুন।
  • কত বছর পরে টাকার মান বের করতে চাইছেন সেই বছরের অংকটা উল্লেখ করুন।
  • টাকার অংকের ডানদিকে Future Cost দেখানো হবে।

আরও পড়ুন : ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়? জেনে নিন ট্রিক্স

বিনিয়োগ করুন সঠিক খাতে

অতএব বোঝাই যাচ্ছে বর্তমানে আপনার কাছে যে পরিমাণ টাকা রয়েছে আজ থেকে কয়েক বছর পর তার দাম কী হারে কমবে। এমতাবস্থায় সঠিক খাতে বিনিয়োগ করা খুবই জরুরী। এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যার রিটার্ন আগামী দিনের মুদ্রাস্ফীতির থেকে বেশি হয়। দেখুন কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করলে মুদ্রাস্ফীতির হারের থেকে বেশি রিটার্ন পাবেন।

আরও পড়ুন : পুরনো নোট বিক্রি করে লাখ টাকা কামান, জেনে নিন RBI -এর নতুন নিয়ম

  • স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ড : বিগত কয়েক বছরে স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ থেকে অনেক ভালো রিটার্ন পেয়েছেন আমানতকারীরা। তবে এতে ঝুঁকির পরিমাণ থাকে কিছু বেশি।
  • সোনায় বিনিয়োগ : বিগত কয়েক বছরে সোনার দাম হুহু করে বেড়েছে। ২০০০ সালেও ১০ গ্রাম সোনার দাম যেখানে ছিল ৪৪০০ টাকা, বর্তমানে ২০২৪ সালে তা ৭০,০০০ -এ দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বিগত ২৪ বছরে ১৫৯০ শতাংশ দাম বেড়েছে সোনার।