খোঁজ রাখে না বউ-মেয়ে! গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঋতাভরী চক্রবর্তীর বাবা

ফের টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে এল এক দুঃসংবাদ। অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখার্জীর পর এবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর অসুস্থতার খবর মিলেছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর বাবা উৎপলেন্দু। পরিচালকের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে টলিউড।

গুরুতর অসুস্থ উৎপলেন্দু চক্রবর্তী

দীর্ঘদিন ধরেই চরম অর্থ কষ্টে ভুগছেন উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। তার স্ত্রী শতরূপা সান্যাল এবং দুই কন্যা ঋতাভরী চক্রবর্তী ও তার দিদি চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী বহুদিন আগেই উৎপলেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তারপর থেকে একাই থাকেন ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’র পরিচালক। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার অসুস্থতার খবর জানিয়েছেন পরিচালক পারমিতা মুন্সী।

৭৬ বছর বয়সী উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে দেখার মত এখন কেউ নেই। দিন কাটে নিদারুণ অর্থকষ্টে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এরই মাঝে আবার বাড়িতে পড়ে গিয়ে তার হাড় ভেঙেছে। তাকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অসুস্থতার খবর জানিয়ে সাহায্য চেয়েছেন পারমিতা মুন্সী।

পারমিতা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “এই পোস্টে সকলের, বিশেষ করে চলচ্চিত্র পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। নিদারুণ অর্থ কষ্টে থাকা, প্রবীণ পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর অসুস্থতায় পাশে দাঁড়ান। উনি বর্তমানে পিজি হাসপাতালে ভর্তি। আমি চেষ্টা করব আমার সাধ্যমত। সবাই চেষ্টা করুন। সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে পাশে দাঁড়ান।”

উৎপলেন্দু চক্রবর্তী আসলে কে?

উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ৮ এর দশকের জনপ্রিয় একজন পরিচালক। ১৯৮২ সালে তার পরিচালিত ‘চোখ’ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায়। যে ছবির পোস্টার এঁকেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, এনএফডিসি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই বিতর্কিত থেকেছে। স্ত্রী শতরূপার উপর গার্হস্থ্য হিংসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন : চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর আসল নাম কী?

আরও পড়ুন : দুই ছেলেমেয়ে থাকতেও দেখার কেউ নেই! ধার করে চিকিৎসা চলছে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের

কেন বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নেই ঋতাভরী চক্রবর্তীর?

উৎপলেন্দুর সঙ্গে সাংসারিক অশান্তির কারণে দুই মেয়ে চিত্রাঙ্গদা এবং ঋতাভরীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান শতরূপা। তখন ঋতাভরীর বয়স ছিল মাত্র ৪ বছর। বাবাকে নিয়ে তার মনে ভালো কোনও স্মৃতি নেই বলেই জানান অভিনেত্রী। বরং বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন, অত্যাচার করছেন এমনই স্মৃতি রয়েছে তার মনে। ঋতাভরীর কাছে মা শতরূপাই তার বাবা। শতরূপা, ঋতাভরী বা চিত্রাঙ্গদা, কারও সঙ্গেই উৎপলেন্দুর কোনও সম্পর্ক নেই এখন।