আটকে যাবে কারচুপি, এই মেশিন লাগালেই ঘুরে যাবে ভোটের রেজাল্ট

What is VVPAT How VVPAT Works in Elections : আগামী ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হবে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই VVPAT যাচাইয়ের দাবী নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবী ইভিএম মেশিন নিয়ে কারচুপি করছে সরকার। যার ফলে স্বচ্ছ ভোট নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে VVPAT স্লিপ ১০০ শতাংশ যাচাই প্রসঙ্গে বিরোধীদের আবেদনের শুনানি হবে শীঘ্রই।

VVPAT কী?

VVPAT এর সম্পূর্ণ নাম ভোটার ভেরিফাইয়েবেল পেপার অডিট ট্রেইল। যখন কোনও ভোটার ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন তখন সঙ্গে সঙ্গে VVPAT স্লিপ তৈরি হয়ে যায়। এতে যে প্রার্থীকে তিনি ভোট দিয়েছেন তার নাম, নির্বাচনের প্রতীক ও সেই সঙ্গে একটা সিরিয়াল নম্বর থাকে। ২০১৩ সালে নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম VVPAT ব্যবহার হয়েছিল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার সব ভোটকেন্দ্রে VVPAT ব্যবহার হয়েছিল।

ভোট দেওয়ার পর কাঁচের স্ক্রিনে ভোটার স্লিপ দেখা যায় ৭ সেকেন্ডের জন্য। চোখে দেখতে পেলেও ভোটার এই স্লিপ হাতে পান না। ৭ সেকেন্ড পরে সিল করা VVPAT ড্রপবক্সে পড়ে যায় এই স্লিপ। পরবর্তীকালে ভোট যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়লে এই স্লিপ দেখেই ভোট যাচাই করা হয়।

ব্যালট ইউনিট এবং VVPAT যাচাইয়ের ফল আলাদা হলে কী হবে?

VVPAT স্লিপ এবং ইভিএম ভোটের ফলাফল এক হওয়াই উচিত। VVPAT যাচাই হয় খুবই সতর্কতার সঙ্গে এবং নিরাপদে। এর জন্য আলাদা কাউন্টিং হল থাকে যেখানে শুধু অনুমোদিত কর্মীরাই প্রবেশ করতে পারবেন। ভোট গণনার পরে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনী এলাকার ফলাফল ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটে কে কে জিতবে আর কে কে হারবে? কী বলছে সমীক্ষা?

যদি কখনও দেখা যায় VVPAT এর ফলাফল এবং ইভিএম ভোটের ফলাফল আলাদা এসেছে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে কারচুপি হয়েছে ইভিএমে। VVPAT -এ কারচুপি বা ভোটের ভুল গণনা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই নির্বাচনী আইন ৫৬ ডি ৪ বি অনুসারে VVPAT এর রেজাল্টকেই চূড়ান্ত বলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন : বাংলায় কটা আসন পাবে বিজেপি? ভবিষ্যৎবাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর

কেন VVPAT এর দাবী তুলছেন বিরোধীরা?

নিয়ম অনুসারে স্বচ্ছ ভাবে ভোট গণনার জন্য প্রত্যেক বিধানসভায় ৫ টি VVPAT মেশিন যাচাইয়ের নির্দেশ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য VVPAT বাধ্যতামূলক। ২০১৯ সালে চন্দ্রবাবু নাইডু সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন অন্তত ৫০ শতাংশ VVPAT গণনা করা উচিত। তবে নির্বাচন কমিশনের জবাব ৫০ শতাংশ VVPAT গণনা করতে হলে ভোটের ফল আসতে ৫ থেকে ৬ দিন অতিরিক্ত সময় লাগবে।

আরও পড়ুন : ক্ষমতায় এলে কী কী করবে মোদি সরকার? দেখুন বিজেপির আগামী ৫ বছরের প্ল্যানিং

তবুও বিরোধীরা বারবার VVPAT গণনার উপর জোর দিয়ে আসছেন। ইভিএম নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করেন তারা। তাই তারা VVPAT এর উপর জোর দিচ্ছেন। স্বচ্ছ ভাবে ভোট গণনার জন্য অন্তত ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ VVPAT গণনা করা উচিত বলে দাবি করছেন তারা। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভারতে বিরোধী জোট শক্তি ১০০ শতাংশ VVPAT গণনার দাবী তোলে। এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনার দাবীও করেন তারা। কিন্তু শেষমেষ বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।