How To Apply For Lakshmir Bhandar : এপ্রিল মাস থেকেই বাংলার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ডবল ডবল টাকা! সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলারা এবার থেকে প্রতি মাসে পাবেন ১ হাজার টাকা। তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা পাবেন ১২০০ টাকা। আপনি কি এখনও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করেননি? তাহলে আর দেরি কেন ঝটপট করে ফেলুন। কীভাবে করবেন, কোথায় আবেদন জমা দেবেন সব প্রশ্নের উত্তর রইল এই প্রতিবেদনে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন?
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই মহিলা হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মচারী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, সরকারি উদ্যোগ, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, পৌর কর্পোরেশন বা পৌরসভা, স্থানীয় সংস্থা এবং সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মহিলারা বা সরকারি পেনশন উপভোক্তারা আবেদন করতে পারবেন না।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (বাধ্যতামূলক নয়),
- আধার কার্ড,
- SC-ST দের জন্য কাস্ট সার্টিফিকেট,
- আবেদনকারীর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিবরণ (অ্যাকাউন্টধারীর নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের ঠিকানা, IFSC কোড, MICR কোড সহ ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স),
- আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম,
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করবেন কোথায়?
দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনি সারা বছর যে কোনও সময় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা স্থানীয় বিডিও অফিসে গিয়ে আবেদন জানান। শহরের মহিলারা মহকুমা শাসক বা SDO -এর অফিসে গিয়ে আবেদন করুন। কলকাতার মহিলারা কলকাতা পৌর নিগমের অফিসে এসে আবেদন জানাবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করবেন কীভাবে?
- বিডিও বা এসডিও অফিস থেকে ফর্ম নিতে হবে। সেই সঙ্গে আপনাকে একটি অ্যাক্টিভ ইউনিক নম্বর দেওয়া হবে।
- বাড়িতে এসে সেই ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করুন। সেই সঙ্গে অ্যাকটিভ ইউনিক নম্বরটিও লিখুন যথাস্থানে।
- যে যে ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করুন।
- এরপর সবশুদ্ধ নিয়ে গিয়ে আবার বিডিও বা এসডিও অফিসে জমা দিন।
অনলাইনে কীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করবেন?
অনলাইনে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি এখনও সার্বিকভাবে সাধারণের জন্য চালু হয়নি। আপনি অনলাইন থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে সমস্ত ডকুমেন্টস সহ ফর্ম জমা দিতে হলে আপনাকে স্থানীয় বিডিও বা এসডিও অফিসে গিয়েই জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : বাড়িতে বসে সংশোধন করুন আধার কার্ডের DOB, জেনে নিন পদ্ধতি
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও কি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে?
অবশ্যই যাবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প যখন চালু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখনও অনেক মহিলার কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। আগের নিয়মের ফলে বহু মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অন্যান্য নথি দেখিয়ে আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১০০০ টাকা ঢুকছে কিনা চেক করুন এইভাবে
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্টেটাস চেক করবেন কীভাবে?
আবেদন করা হয়ে গেলে কিছুদিন, কিছু মাস আপনাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আপনি আপনার আবেদনের স্থিতি চেক করতে পারবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। https://socialsecurity.wb.gov.in/ ওয়েবসাইটে Application Status অপশনে ক্লিক করুন। এরপর যে মোবাইল নম্বর দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেই মোবাইল নম্বর লিখুন। Captcha Code লিখুন। Search অপশনে ক্লিক করুন। আপনার আবেদন কোন পর্যায়ে আছে তা জানানো হবে।