প্রত্যেকদিনই বলতে গেলে সোনার দর বাড়তে কিংবা কমতে থাকে। এমনিতেই সোনার দাম বাড়তে বাড়তে এখন আকাশ ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। ১০ গ্রাম সোনার বর্তমান দাম প্রায় ৭০ হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। সোনার গয়না কিনতে গেলে শুধু সোনার দাম দিলেই তো আর হয় না। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ট্যাক্স এবং মেকিং চার্জও লাগে। তাই যদি কেউ এখন ১০ গ্রাম সোনার গয়না কিনতে চান তাহলে তাকে ঠিক কত টাকা দিতে হবে বুঝে নিন সেই হিসেব।
সোনার গয়নার দাম কীভাবে নির্ধারণ হয়?
সোনার গয়নার দাম একটা নির্দিষ্ট সূত্র মেনে নির্ধারণ হয়। এই সূত্রটি হল – প্রতি গ্রাম সোনার দাম × গ্রাম হিসেবে ওজন + মেকিং চার্জ + গয়নার দাম এবং মেকিং চার্জের উপর জিএসটি। এই প্রত্যেকটি প্যারামিটার মিলিয়ে তবেই সোনার গয়নার চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারিত হয়।
সোনার গয়নার মেকিং চার্জ কত থাকে?
বর্তমান নিয়ম অনুসারে সোনার গয়নার উপর ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ এমনকি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মেকিং চার্জ নেওয়া হয়। মেকিং চার্জ গণনারও দুটো পদ্ধতি আছে। একটি হল সোনার গ্রাম প্রতি খরচ, দ্বিতীয়টি হল শতকরা হার। সোনার গ্রাম প্রতি খরচ মানে যত সোনা কিনবেন তার ওজন প্রতি গ্রামের গুণিতক মেকিং চার্জ হিসেবে ধার্য হয়। আর শতকরা হার হল সোনার মোট মূল্যের শতাংশ হিসেবে মেকিং চার্জ নির্ধারণ হয়।
আরও পড়ুন : পুরনো ট্যাক্স নাকি নতুন ট্যাক্স, আপনার জন্য কোনটা ভালো?
ধরা যাক কোনও ব্যক্তি ১০ গ্রাম ওজনের সোনা কিনলেন। এবার মেকিং চার্জ বাবদ বিক্রেতা গ্রাম পিছু ৫০০ টাকা করে ধরলেন। তাহলে তাকে সোনার দামের উপর মোট ৫ হাজার টাকা মেকিং চার্জ হিসেবে দিতে হচ্ছে। মেকিং চার্জ হিসেবেই তাকে ১০ গ্রাম সোনার দামের উপর অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।
এবার এখানে যদি শতকরা হিসেবে মেকিং চার্জ নির্ণয় করা হয় তাহলে কত দাম দিতে হবে দেখা যাক। কোনও ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না গড়াতে দিলে যদি ১০ শতাংশ হারে মেকিং চার্জ নেওয়া হয় তাহলে তাকে মেকিং চার্জ বাবদ ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। বর্তমানে আবার মেকিং চার্জের উপরেও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়।