৩০ পেরোনোর পর প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে কিছু না কিছু পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে মহিলাদের এই সময় স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি সচেতন হওয়া উচিত। শরীর চর্চা, খাওয়া-দাওয়া, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষাও জরুরী। জেনে নিন ৩০ বছর বয়স হওয়ার পর ঠিক কোন কোন চেকআপ করানোর জরুরী।
ম্যামোগ্রাফ
শরীরে স্তন ক্যান্সার হতে পারে বা হচ্ছে কিনা জানার জন্য ম্যামোগ্রাফ টেস্ট করাতে হবে। মহিলাদের স্তনে ছোট লাম্প কিংবা ফোলা ভাব থাকলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। স্তনে ব্যথা কিংবা অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
জরায়ু পরীক্ষা
জরায়ু পরীক্ষা করানোর জন্য প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট করাতে হবে নিয়মিত। একমাত্র এই পরীক্ষার মাধ্যমে আগে থেকেই জানা যাবে জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। ৩০ বছর বয়স হওয়ার পর এইচপিভি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি টের পাওয়া যায়।
গর্ভধারণের পরীক্ষা
৩০ বছর বয়স হওয়ার পর মহিলাদের গর্ভধারণের ক্ষমতা একটু একটু করে কমে যায়। মহিলাদের ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতা ৩০ বছর বয়সের পর কমতে থাকে। তাই যারা ভবিষ্যতে মাতৃত্বের পরিকল্পনা করছেন তাদের এই সংক্রান্ত শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটাও জরুরী।
লিপিড প্রোফাইল
শরীরে লিপিডের মাত্রা কেমন রয়েছে তা জানার জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ জীবন পেতে হলে অবশ্যই করতে হবে এই কাজ।
থাইরয়েড ফাংশন টেস্টিং ও হিমোগ্রাম
মহিলারা অনেক সময় রক্তাল্পতা এবং থাইরয়েডের মত সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের রোগের কোন উপসর্গ আগেভাগে দেখা দেয় না। আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন কত রয়েছে এবং থাইরয়েড কেমন রয়েছে তা জানার জন্য আপনাকে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে।
চোখের চেকআপ
৩০ বছর বয়স হলে নিয়মিত চোখের চেকআপ করাতে হবে পুরুষ-মহিলা দুজনকেই। চোখের স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে তার জন্য নিয়মিত চেকআপ করানো জরুরী। আসলে এখনকার দিনে ল্যাপটপ মোবাইল ব্যবহারের ফলে স্ক্রিন টাইম অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চোখের উপর কতটা চাপ পড়ছে বা আপনার চোখের স্বাস্থ্য কেমন আছে তা জানার জন্য চেকআপ করাতেই হবে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ বিপদ আসতে পারে, প্রাণ বাঁচাতে বাড়িতে রাখুন এই ৮ টি ওষুধ
আরও পড়ুন : কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের চিকেন-মাটন খাওয়া উচিত নয়?
ব্লাড সুগারের পরীক্ষা
মহিলাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কত রয়েছে তা জানতে হলে সুগার টেস্ট করতে হবে। তিরিশের পর সুগারের পরীক্ষা করে নেওয়াটাও জরুরী।