কথায় কথায় বলতে শোনা যায় ”চোখের জলের দাম দেয় না কেউ!” তবে আজকে যে ঘটনা নিয়ে এই প্রতিবেদন তা জানার পর কার্যত আর এমনটা কেউ বলবেন না। জীবনে সুখ, দুঃখ, কষ্ট, আবেগের মূল্য কেউ দিক বা না দিক, চোখের জলের দাম কিন্তু দিচ্ছেন খোদ বিজ্ঞানীরা। এক ফোঁটা চোখের জলের দাম চড়ছে কয়েক কোটি টাকা! কার চোখের জল এত দামী? কেনই বা এত উপকারী জানেন?
কার চোখের জল সবথেকে দামি?
অবশ্য চোখের জলের দামের বিচারে কিন্তু মানুষসহ অন্যান্য সব প্রাণীকে পেছনে ফেলে দিয়েছে মরুদেশের একটি প্রাণী। সেটা আর কেউ নয়, উট। উটের চোখের জলের দাম নাকি কোটি টাকা। হ্যাঁ, এমনটাই অন্তত দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের চোখের জলের দাম থাকুক বা না থাকুক, বিজ্ঞানীরা স্বীকার করে নিয়েছেন উটের কান্না আদতে অমূল্য। কিন্তু উটের চোখের জল কেন এত দামী?
চোখের জল এত দামী কেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন উটের কান্না আসলে শুধু চোখের জল তো নয়, এটা এক প্রকারের ভীষণ শক্তিশালী প্রতিষেধক। যে প্রতিষেধক ২৬ রকমের বিষধর সাপের প্রভাব কাটিয়ে দিতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা এমনই চাঞ্চল্যকর দাবী করছেন।
আরও পড়ুন : লোক ঠকানোর ব্যবসা শেষ!নিষিদ্ধ হয়ে গেল রামদেবের পতঞ্জলির এই ১৪টি প্রোডাক্ট
শুধু মার্কিন বিশেষজ্ঞদের গবেষণা নয়, দুবাইয়ের সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি রিসার্চ ল্যাবরেটরীতেও গবেষকরা উটের কান্না নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তারাও একই দাবি করছেন। বর্তমানে উটের চোখের জল ব্যবহার করে সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে।
আর কোন কোন প্রাণী রয়েছে তালিকায়?
শুধু উট নয়, বিজ্ঞানীরা এর আগে ঘোড়া এবং ভেড়ার উপরেও পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। এই সমস্ত প্রাণীর দেহে সামান্য পরিমাণ সাপের বিষ প্রয়োগ করে অ্যান্টিভেনম বা বিষের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। তবে হালফিলে উটের উপর পরীক্ষা চালিয়ে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে আরও বেশি আশাবাদী চিকিৎসকরা। আগামী ৫ বছরের মধ্যে শক্তিশালী আন্টি ভেনম তৈরি হবে বলে জানাচ্ছেন তারা।